ইতালির তো বটেই, ফুটবলের ইতিহাসেরই সেরা ডিফেন্ডারদের একজন ফ্রাঙ্কো বারেসি। মাঠে তিনি সামলেছেন আর্জেন্টিনার দিয়েগো ম্যারাডোনা, ব্রাজিলের জিকো-সক্রেটিসের মতো লিজেন্ড অ্যাটাকারদের। তবে বারেসির দৃষ্টিতে তার সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ম্যারাডোনা। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই জানালেন ৬০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার।
১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যারাডোনা পাড়ি জমান ইতালির নাপোলিতে। সিরি আ লীগে বারেসির সঙ্গে জমে ওঠে তার দ্বৈরথ। ১৯৯১ সালে নাপোলিকে বিদায় জানানোর আগে ম্যারাডোনা তাদের উপহার দেন দুটি লীগ শিরোপা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর তার সেরা কৃতিত্ব নাপোলিকে সিরি আ জেতানো। কারণ সে সময়টায় ইতালিয়ান লীগ শাসন করতো জুভেন্টাস, এসি মিলান, ইন্টার মিলান।
নাপোলি পাত্তাই পেত না এসব ক্লাবের কাছে। ম্যারাডোনার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে বারেসি বলেন, ‘আমি সতীর্থ হিসেবে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে পেয়েছি। নির্দিষ্ট করে কাউকে সেরা বলতে পারবো না। কিন্তু যদি সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বাছাই করতে বলেন, তাহলে ম্যারাডোনার কথাই বলতে হবে।’
বারেসি ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই কাটিয়েছেন এসি মিলানে। ১৯৭৭ থেকে টানা ২০ বছর খেলেছেন ইতালির গ্রেট ক্লাবটিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগসহ সম্ভাব্য সব ট্রফিই জিতেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়েও সাফল্য কুড়িয়েছেন। ইতালির হয়ে ১৯৮২ সালে জেতেন বিশ^কাপ। ১৯৯৪-এ ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে যায় তার দল। বিশ^কাপ জয়ের অনুভূতি নিয়ে বারেসি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি ছিল দারুণ। পুরো দেশকে উচ্ছ্বাস করতে দেখেছিলাম তখন। আর ১৯৯৪’র দুঃস্মৃতি ধীরে ধীরে মিলিয়ে গিয়েছিল। তবে মাঝেমাঝেই সেই দিনের কথা মনে পড়তো।’
নিজের পছন্দের কোচ হিসেবে আরিগো সাচ্চি ও ফাবিও ক্যাপেলোকে এগিয়ে রেখেছেন বারেসি। তার ভাষায়, ‘সাচ্চি পারফেকশনিস্ট। ইতালির ফুটবল পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছিলেন ইনি। ক্যাপেলোর ছিলেন এক্সপার্ট, সব কাজেই নজর থাকত তার। আমার কাছে দু’জনই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।’