মরণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে শিল্প ও বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জ। ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্মৃদ্ধ জেলাটি করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৮৪ জন। মারা গেছে ৭৭ জন। এরমধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায়ই মারা গেছে ৫১ জন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদরে ১৭ জন, সোনারগাঁয়ে ৬জন, বন্দরে ২ জন ও রূপগঞ্জে ১জন মারা গেছে। এমন শঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতেও শিল্প কারখানার শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের পদচারনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে লকডাউন।
ঈদের আগে নারায়ণগঞ্জের মাকের্টগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষনীয়। করোনা প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই কাচাবাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম নিয়ন্ত্রনে আনা যায়নি। আর এখন তো নিয়ন্ত্রণহীন সব কিছুতে।
করোনায় মারা যাওয়া ৭৭ জনের তালিকাজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনাবভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৮৪ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ৭৭ জন। তবে সুস্থ হয়েছেন ৭৩৬ জন। মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন, নাসিক এলাকায় ফারুক আহমেদ (৫০), গিয়াস উদ্দিন (৬০), চিত্তরঞ্জন (৬৫), এম এ হাসান (৭০), মজিবুর রহমান (৫৫), খায়রুল আলম হিরো ওরফে হিরো লিসান (৪০), মনির হোসেন (৬৫), সুরুজ মিয়া (৫৬), মোস্তফা সরকার (৬৪), কহিনুর বেগম (৫৫), দুলু মিয়া (৫০), মমতাজ বেগম বেবী (৬৫), মাজেদা বেগম (৭০), মাহবুব রহমান রানা (৩৫, মৃণাল কান্তির ধর (৬৮), হরিহর (৫৬), তাওলাদ হোসেন (৭০), বিকাশ সাহা (৫৮), বিমল সাহা (৫৩), অরুণ দাস (৬৫), মঞ্জুর আহমেদ (৫৭), রমিজ উদ্দিন (৭০), অসিত কুমার (৫৯), সাইফুল ইসলাম বাবু, আবুল ফজল মুন্সী (৭৪), সুশ্রীল চন্দ্র সাহা (৬০), মো: ফজর আলী (৫৩), হোসনেআরা বেগম (৪৬), সালমা আক্তার (৩০, আয়শা আক্তার (৮৫), মনরঞ্জন (৬৪), গীতা রানী (৭৮), আব্দুল বারেক (৭৫), জালাল গাজী (৫৩), শহীদুল্লাহ (৬৫), বিশ্বাস রায় (৭২), হাসিনা নুর (৫৬), মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০), আব্দুল কাইয়ুম (৬৫), খুকু আলম (৫৫), মো: টিটু (৩৩), জসিম উদ্দিন মোল্লা (৪৫), রাখাল চন্দ্র (৬৫), হাজী ইয়াম হোসেন (৬৫), নুর জাহান বেগম (৭০), ডা. আমেনা খান (৬৩), হাজী আব্দুল মমিন (৭৮), মো: বিল্লাল হোসেন (৫৩), বাতাসি রানী সাহা (৮৫), রোকেয়া বেগম (৭০), রতন দত্ত (৫৪), অনিল কুমার সাহা (৮০)। সদর উপজেলায় আবু সাঈদ মাদবর (৫৫), মহিউদ্দিন (৬২), বেলায়েত হোসেন (৪০), রহিমা বেগম (৫৬), তাহমিনা (৪৫), সাদিয়া বেগম (৫০), হাজী মাহমুদুর রহমান (৭৮), হাজী আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), সুরাইয়া বেগম (৬৫), ফরিদা বেগম, নাছিমা আক্তার (৩৬), রমিজ উদ্দিন (৬২), সুরাইয়া বেগম (৫৩), মাহতাব উদ্দিন (৭২), শাহাদাত হোসেন (৬৫), গিয়াস উদ্দিন (৫৪)। সোনারগাঁয়ে আব্দুর রহিম (৭০), আসাদ মিয়া (৫০), নার্গিস আক্তার (৪৬), আলমগীর হোসেন (৫৪), রুবি আক্তার (১৬), শামীম ভুইয়া (৫০) ও বন্দরে প্রথম মৃত্যু পুতুল বেগম (৫৫), হাজী নাজমুল ইসলাম (৫২)।
উল্লেখ্য ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। ৩০ মার্চ প্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে পুতুল নামে এক নারী মারা যায়। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে করোনার হটস্পট ঘোষণা করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল সকাল থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করে আইএসপিআর।