× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা /বাস ভাড়া ৮০% বাড়ানোর প্রস্তাব

প্রথম পাতা

আল-আমিন
৩১ মে ২০২০, রবিবার

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে দুই মাস বন্ধ থাকার পর ১লা জুন থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। আর এতে চলাচলরত যাত্রীদের ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিআরটিএ’র গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণ কমিটি। অন্যদিকে এই মুহূর্তে বাসের ভাড়া বাড়ানো হলে যাত্রীদের জন্য তা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হবে বলে জানিয়েছেন, গণপরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। করোনায় সরকার কর্তৃক লকডাউন ঘোষণার পর অনেকেই ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে গেছেন। যারা গ্রামে গেছেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন কর্মহীন। এছাড়াও যারা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তাদের অনেকেরই অর্থনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ভাড়া বাড়ানোর পর করোনার প্রভাব কেটে গেলে ওই বর্ধিত ভাড়া কমানো হবে কী-না, স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে কী-না, এই বিষয়ে কোন পক্ষই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।
পরিবহন আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলছেন, দেশ থেকে এখনও মহামারী করোনার প্রভাব যায়নি।
সড়কে চাঁদাবাজির বন্ধের পদক্ষেপ না নিয়ে, জ্বালানি তেলের মূল্য না কমিয়ে, পরিবহনের চালক-শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সম্পর্কিত কোন প্রকার প্রশিক্ষণ না দিয়ে, গণপরিবহন চালুর মধ্যদিয়ে জনগণকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। অন্যদিকে, সড়কে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে সরকার সড়কে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি আরো বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় তারা অযৈক্তিক ভাড়া বাড়ানোর কঠোর প্রতিবাদ জানান। এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মোল্লা জানান, আমরা আজকে বিআরটিএ’র গণপরিবহণ ভাড়া নির্ধারণ কমিটির সকলের উপস্থিতিতে ৮০ শতাংশ ভাড়া নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। অর্থাৎ ৫০ ভাগ যাত্রীর কাছ থেকে ৮০ ভাগ ভাড়া নেয়া হবে। প্রত্যেক বাসে ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখতে হবে। সেই ক্ষেত্রে বাস মালিকরা লোকসানে পড়তে পারে। এজন্য বাস ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন মানবজমিনকে জানান, সরকার যা সিদ্ধান্ত নিবে তা আমাদের মানতে হবে নইলে প্রতিবাদ করতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কে প্রতিবাদ করবে? প্রতিবাদ করার কেউ কী আছেন?
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, যেকোন সংকটে বা অজুহাতে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালে তা স্বাভাবিক সময়ে কমানোর কোন নজির নেই। বরং সময় গেলে আরো বাড়ে। ভাড়া বৃদ্ধির তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিাবাদ জানান। ভাড়া বাড়ানোর বিরোধী বা প্রতিবাদকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন গণপরিবহন লকডাউন থাকার কারণে মালিক-শ্রমিকরা আর্থিক সংকটে রয়েছে এটা সত্য, কিন্তু বাড়তি ভাড়া নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পযাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এটা মনিটর করবে কে? কীভাবে এটা নিশ্চিত হবে। বাস্তবে কোনো পরিবহনই স্বল্পযাত্রী বহন করবে না, স্বাস্থ্যবিধিও মানবে না।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি ভর্তুকি ছাড়া বর্তমানে গণপরিবহণের ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে না। একটি গাড়ি রাস্তায় বের হলেই জ্বালানি খরচ, ড্রাইভার ও হেলপারের বেতন, মেরামত ও নানা খাতের চাঁদা বাবদ নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা খরচ হয়। যাত্রীর ভাড়া থেকেই এসব খরচ মেটাতে হয়। অন্য সময়ে দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করা হয়। এখন করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালালে খরচ উঠবে না। ফলে বাড়তি ভাড়া সমাধান হবে বলে মনে হয় না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর