× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনায় ডিম বিক্রেতার লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
৩০ মে ২০২০, শনিবার

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ফসলি মাঠের কচুখেত থেকে ডিম বিক্রেতা সোহরাব হাওলাদার (৫৫) নামে এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় বেতাগী উপজেলার মোকামিয়ার করুনা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহরাব হাওলাদার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে মোকামিয়া ইউনিয়নের করুনা গ্রামের ছন্দু সিকদারের কচুখেতে সোহরাব হাওলাদারের মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর এলাকার জনগনই বেতাগী থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ খবর পেয়ে সেখান থেকে সোহরাবের মরদেহ উদ্ধার থানায় নিয়ে যায়। লাশ উদ্ধারে সময় শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়নি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস হোসেন ইমন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ছন্দু সিকদারের কচু খেত থেকে সোহরাবের লাশ উদ্ধার করে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য শনিবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বলেন, সোহরাবের স্ত্রী হালিমার সাথে মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া করুনা গ্রামের মোসলেম আলী সিকদারের ছেলে জলিল সিকদারের দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। ভিকটিমের নাম এবং আটককৃতের নাম ও পিতার নাম একই থাকায় ভুলবশত   গত শুক্রবার ওই একই ইউনিয়নের বড় মোকামিয়া গ্রামের মোসলেম আলী মৃধার ছেলে চায়ের দোকানদার নির্দোষ জলিল মৃধাকে আটক করে। জলিল মৃধা সোহরাবের স্ত্রী হালিমাকে চেনেন না।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার দিন সোহরাব বাড়ি ছিলেন না। বাড়িতে না থাকায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় স্বজনরা শুক্রবার বিকাল থেকে তাকে খোঁজ করে। কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যার পূর্বমুহূর্তে এলাকাবাসী সোহরাবের মরদেহ করুণা গ্রামের ছন্দু সিকদারের কচুখেতে দেখতে পায়। পুলিশ মৃত সোহরাবের শরীরে কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কচুখেতে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জলিল সিকদার এলাকা থেকে পালিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এ বিষয় বেতাগী থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস হোসেন ইমন জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের কারণে জলিল মৃধাকে থানায় নিয়ে আসা হয়, তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা প্রেরণ করা হয়েছে এবং তদন্তের পরে হত্যার রহস্য সঠিকভাবে বলা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর