× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব‌রিশা‌লে ক‌রোনা উপসর্গ নি‌য়ে মৃ‌তের লাশ আট‌কে রে‌খেছিল মহাশ্বাশান ক‌মি‌টি

বাংলারজমিন

স্টাফ রি‌পোর্টার, ব‌রিশাল থে‌কে
৩১ মে ২০২০, রবিবার

অবশেষে সাড়ে ৫ঘন্টা পর বরিশালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকারের অনুমতি দিয়েছে মহাশ্মশান কমিটি। তাও জেলা প্রশাসক‌কে সৎকা‌রের জন্য হস্ত‌ক্ষেপ কর‌তে হ‌য়ে‌ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল নরসুন্দর কল্যান ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল চন্দ্র জানান, বুকে ব্যথা ও শ্বাস কষ্ট জনিত কারণে নিতাই চন্দ্র শীলের (৫৪) মৃত্যুর পর ধর্মীয় নীতি সেরে বিকাল সারে ৩টার দিকে বরিশাল মহাশ্মশানে সৎকারের জন্য নেয়া হলে তাতে বাঁধা দেয়া হয়। পরে শ্মশানের বাইরে মৃতদেহ ও তার স্বজনদের বের করে দেয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার। পরে সাংবাদিকরা এলে চাপে পরে পিছনের গেট থেকে মৃতদেহ নিয়ে সৎকার কার্য ৯টার দিকে শুরু করা হয়।

এদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত নিতাই চন্দ্র শীলের ছেলে নিখিল শীল বরিশাল মহাশ্মশানে মরদেহ সৎকারে বাঁধার অভিযোগ করেছেন শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকারের বিরুদ্ধে।

তিনি আরও জানান, শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির মধ্যে শ্মশান থেকে মরদেহটি তাদের স্বজনসহ বাইরে বের করে দেয় তমাল মালাকার ও তার অনুসারীরা। এমনকি তাদের গালাগালও করা হয়।

নগরীর চাঁদমারি খেয়াঘাট এলাকায় নিখিল হেয়ার ড্রেসারের মালিক নিতাই চন্দ্র শীল (৫৪) বুকে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে শনিবার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। পরে দুপুর সারে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হলে ধর্মীয় রিতি নীতি শেষে দাহ কাজ অর্থাৎ সৎকার সম্পন্ন করতে বরিশাল মহাশ্মশানে নেয়া হয় সারে ৩টার দিকে। তবে নানা অযুহাতে শ্মশান থেকে মৃতদেহসহ তাদের স্বজনদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
প্রথমে বলা হয় বরিশাল নগরীর ভোটারদের বাইরে কাউকে দাহ করা হবে না। পরে করোরনার আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে দুর্বব্যহার করে সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার। বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে মৃতদেহসহ স্বজনদের শ্মশানের বাইরে অমানবিক ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে তমাল মালাকার। এমনটাই অভিযোগ করেন মৃতের স্বজনরা।

পরে পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ হয়।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তিনি স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা কথা বলেন শ্মশান রক্ষা কমিটির সভপাতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে। পরে রাত ৮টার দিকে মরদেহ শ্মশানের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়।

কিন্তু এমন ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অনেকেই।

বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু জানান, দাহ কার্য সম্পন্ন হ‌য়ে‌ছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে মৃতের পরিবারকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর