‘গরবিনী মা’ শোভা রানী দের সন্তান বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র চিরসবুজ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। মায়ের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতাতেই এ শিল্পী নিজেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছেন। কিন্তু সেই মাকে ছাড়াই আজ নিজের জন্মদিনটা পার করতে হবে তাকে। কারণ তার মা গত বছরের ১২ই ডিসেম্বর পরপারে চলে গেছেন। করোনার এই ক্রান্তিকালে নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাস নেই, আনন্দ নেই কুমার বিশ্বজিতের। অবশ্য তিনি জানান কখনোই তার জন্মদিন নিয়ে বর্ণাঢ্য তেমন কোনো আয়োজন হয় না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ শিল্পী নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে বলেন, সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে জীবন জীবিকার প্রশ্নে এতো বেশি দুশ্চিন্তা-অনিশ্চয়তা সেখানে আমার জন্মদিনটি আসলে বড় বেশি গৌণ হয়ে যায়। করোনা নিয়ে তার ভাষ্য, অনেক শ্রদ্ধা জানাই, আন্তরিক ভালোবাসা জানাই করোনার এই ক্রান্তিকালে যারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন তাদের প্রতি।
যেমন ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আরো যারা বিভিন্ন স্তরে কাজ করছেন তাদের প্রতি। সবার মতো আমারও চাওয়া, আমাদের সামাজিক জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক, পৃথিবী সুস্থ হোক শান্ত হোক। বিবর্ণ জীবনে ফিরে আসুক রঙ্গিন আবহ। এদিকে লকডাউনের এই দিনগুলোতেও কুমার বিশ্বজিতের সার্বিক পরিকল্পনা ও সুরে দুটি গান প্রকাশ হয়েছে। দুটি গানই লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু এবং সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর। গান দুটির একটি হচ্ছে ‘লকডাউন’ এবং অন্যটি ‘ঈদ আনন্দ’। কণ্ঠ দিয়েছেন নিশীতা, ইমরান, লিজা ও কিশোর।