করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ডেঙ্গুর আশঙ্কা হয়েছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসির মধ্যে। বর্ষার শুরুতেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মশার উপদ্রবে। বর্তমানে পৌর শহরের সর্বত্র মশার উপদ্রবে বিপর্যস্ত জনজীবন। মশার উৎপাত নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। মশার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধরা।
জানাযায়, পৌর এলাকার চারিদিকে ঘরে ঘরে সাধারণ জ্বরে ভোগছে লোকজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তার কিংবা পরিক্ষা নিরীক্ষা করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সবাই। সাধারণ জ্বর নাকি অন্য কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা। মরণ ব্যাধি করোনা নাকি ডেঙ্গুর তা নিশ্চিত হতে না পারায় আতঙ্কে রয়েছেন পৌর এলাকার জনসাধারণ। মশাবাহিত বিভিন্ন রোগবালাইয়ের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও পৌরকর্তৃপক্ষ মশক নিধনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন আবাসিক এলাকায় দেখাযায়, পৌরসভার কয়েকজন কর্মী মশক নিধনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা জানালেন, এলাকায় মশক নিধনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম পৌর এলাকার সবকয়টি ওর্য়াডে প্রয়োগ করা হবে।
পৌরসভার দাউদনগর মহল্লার বাসিন্দা তানভীর চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সারা দেশ আতঙ্কে আছে এর মাঝে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাত্রে সবসময়ই ঘরে বাইরে মশার আক্রমণ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে যদি ডেঙ্গুজাতীয় রোগবালাই দেখা দেয় তা হলে মৃত্যু ছাড়া উপায় নাই। কারন এখন ডাক্তার টেস্ট কিছুই পাওয়া যাবে না। এ পরিস্থিতিতে শায়েস্তাগঞ্জে এখনই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক স্থান সমূহ চিহ্নিত করে বংবিস্তার রোধ কল্পে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এতে করে আসন্ন মশার উৎপাত থেকে সবাই রক্ষা পাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. ছালেক মিয়া বলেন, ইতোমধ্যেই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার ৯ টি ওর্য়াডেই মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করোনার মধ্যেও পৌর লাকার সবকয়টি ওর্য়াডে ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও মশা নিধনে স্প্রে করা হয়েছে। বৃষ্টি বাদল শুরু হওয়ায় আবার মশার জন্ম হয়েছে। তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।