× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জর্ডান উপত্যকা ইসরাইলে ঢুকবে তবে নাগরিকত্ব পাবে না ফিলিস্তিনিরা

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
১ জুন ২০২০, সোমবার

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দখলে থাকা জর্ডান উপত্যকা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত (অ্যানেক্স) করবেন। তবে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের নাগরিক হবেন না। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলের পত্রিকা হারেৎজ। খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু সমপ্রতি ‘ইসরাইল হায়োম’ নামে একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। জেরিকো অ্যানেক্স করার প্রয়োজন নেই। দুই ক্লাস্টারের একটি হলো তারা। তাদের বেলায় সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করার কিছু নেই।
তারা ফিলিস্তিনি অধীনস্থ থাকবে। তবে তাদের ওপরও ইসরাইলের নিরাপত্তাগত নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’ এ ছাড়া দখলকৃত পশ্চিম তীরের অংশবিশেষও নিজ ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করবে ইসরাইল। কিন্তু সেখানে বসবাসরত ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিদের কী হবে, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অতীতে যত শান্তি পরিকল্পনা এসেছে, সেখানে ইসরাইলের অংশবিশেষ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের সীমান্তে ফিরে যেতে হবে। জেরুজালেমকে দুই ভাগ করতে হবে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইসরাইলে প্রবেশ করতে দিতে হবে। কিন্তু (ডনাল্ড ট্রাম্পের) শান্তি পরিকল্পনা এর বিপরীত। এই পরিকল্পনার অধীনে আমাদের কোনো ভূমি ত্যাগ করতে হবে না, ফিলিস্তিনিদের করতে হবে বরং।’
 তিনি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বুঝতে হবে যে, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাগত নিয়ম কী হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করবো আমরা। যদি তারা এতে রাজি হয়, তাহলে তারা তাদের এমন ভূখণ্ড পাবে, যাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাষ্ট্র বলেছেন।’ নেতানিয়াহু স্মরণ করে বলেন, একজন আমেরিকান কূটনীতিক তাকে বলেছেন, সেটি রাষ্ট্র হবে না। তখন নেতানিয়াহু তাকে বলেছিলেন, আপনারা তখন একে যা খুশি তাই বলতে পারেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, ১লা জুলাই মন্ত্রীসভা আলোচনার মাধ্যমে পশ্চিম তীর অ্যানেক্স করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই তারিখ পরিবর্তন করার কোনো ইচ্ছা ইসরাইলের নেই। তিনি বলেন, এটি একটি বড় সুযোগ। আমরা এটি হারাতে চাই না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর