করোনায় নিহতদের লাশ দাফন-কাফনে এগিয়ে আসাসহ নানা কার্যক্রম করে আলোচিত নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার বিকেলে খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে খোরশেদের স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি অক্সিজেন সাপোর্টে চলে যান। এর আগেই গত ২৩মে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা আক্তার লুনা। এর মধ্যে শনিবার খোরশেদ নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন।
উল্লেখ্য করোনার শুরু থেকেই কাউন্সিলর খোরশেদ নিজ উদ্যোগে তার ওয়ার্ডের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন। মানুষকে সচেতন করেন।
আর দেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংকট হওয়ার পর নিজেই কয়েক হাজার বোতল স্যানিটাইজার তৈরি করে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেন। ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে এলাকায় এলাকায়, সড়কে সড়কে, মানুষের ঘরে ঘরে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন খোরশেদ। যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে এখনও জীবাণুনাশক স্প্রে করা অব্যাহত রেখেছেন। মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রতি এলাকায় মাইকিং করাচ্ছেন।
করোনায় মারা যাওয়ার পর ভয়ে মরদেহ নিয়ে পরিবার সংশয়ে থাকলেও খোরশেদ তার টিম নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করেন। করোনার ভয়ে মানুষ যখন স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির মরদেহও ধরছে না তখন খোরশেদ তার গঠিত টিম নিয়ে এগিয়ে যান। মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা করেন এবং দাফন সম্পন্ন করেন। তার এসব কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশংসাও পেয়েছেন খোরশেদ।