করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর কার্যক্রম শুরু হয়েছে দেশের দুই শেয়ারবাজারে। দীর্ঘ বিরতির পর শুরুটি বেশ ভালোই হয়েছে। প্রথম দিনে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় শেষ হয়েছে লেনদেন। কারণ ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ারের দাম কমতে পারেনি বলে সূচকে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। কিন্তু অল্প হলেও যে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে তার প্রভাবে বেড়েছে সূচক।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর তার সঙ্গে সমন্বয় করে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই হিসেবে শেয়ারবাজারে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ২৫শে মার্চ। এরপর দুই মাসেরও বেশি সময় লেনদেন বন্ধ থাকে। এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে লেনদেন চালুর দাবি জানানো হয়।
পরে গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬০ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৯৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, দর কমেছে ৬৮টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ১৯৫টির। ডিএসইতে ১৪৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব সূচক বেড়েছে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। সিএসইতে ১০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৪টির আর ৫৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।