× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার প্রভাবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আয় কমেছে ৭০ ভাগ

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জুন ১, ২০২০, সোমবার, ১:১৯ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় তলানিতে নেমেছে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম। চলমান পরিস্থিতিতে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের আয় কমেছে সাড়ে ৭০ শতাংশ। কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ২১ শতাংশের। স্বশরীরে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন দুই-পঞ্চমাংশের বেশি এজেন্ট। এ অবস্থায় তাদের মাসিক আয় নেমে এসেছে মোট মাসিক ব্যয়ের এক-তৃতীয়াংশে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনোভেশনের ‘ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯ আউটব্রেক অন এজেন্ট ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেবার হালহকিকতের পাশাপাশি সেবাটির তারল্য পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয় নীতিসহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়াদিও উঠে এসেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে জড়িতদের কাছ থেকে নেয়া সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ ও নারী আছে যথাক্রমে ৯৮ ও ২ শতাংশ।
তাদের মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বাইরে ভিন্ন আয়ের উৎস রয়েছে ৭০ শতাংশের।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, লকডাউনের কারণে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাপক ভাটা পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সেবাটি ব্যবহার করে ইউটিলিটি বিল প্রদানের হার এ সময় ৩২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। লকডাউনের আগে সেবাটি ব্যবহার করে সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খোলার হার ছিল ৯১ শতাংশ। এখন তা নেমে এসেছে ৩১ শতাংশে। বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণের হার ৩০ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া ডিপিএস ও এফডিআর অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ঋণ বিতরণ কার্যক্রম নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়।

এজেন্টরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে আয় কমে যাওয়ার কারণে সঞ্চয়ী হিসাব খোলার চেয়ে সাধারণ জনগণ হাতে নগদ টাকা রাখায় আগ্রহ বেশি। মহামারির কারণে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরে আসায় রেমিট্যান্সও হ্রাস পেয়েছে।

গবেষণায় এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় তারল্যের বিভিন্ন সূচকের পরিবর্তন নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। সূচকগুলো হলো- নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ টাকার উত্তোলন, আমানত, গ্রাহকের সংখ্যার পার্থক্য ইত্যাদি। বেশির ভাগ এজেন্ট এসব সূচকে নিম্নমুখিতার কথা জানিয়েছেন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এ সংকট মোকাবিলায় এজেন্টরা তাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। এছাড়া এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হারানোরও শঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সঙ্গে এজেন্টদের এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য সহায়তা দিতে হবে।

অন্যদিকে এজেন্ট ব্যাংকারদের ৯৭ শতাংশ জানিয়েছেন, এ সংকটে টিকে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তারা কোনো সহায়তা পাননি। এ সময়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন ৬০ শতাংশ এজেন্ট।

এদিকে গবেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমাবদ্ধ আর্থিক কর্মকাণ্ডের কারণে স্বল্প আয়ের গ্রাহক গোষ্ঠীর আর্থিক সহযোগিতার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমকে পুনরুদ্ধার করতে অভিভাবক ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রকদের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর