জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। টিভি নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও জায়গা করে নিয়েছেন। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। তবে এই অভিনেতা এখন ঘরেই থাকছেন নিয়মিত। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শুটিংয়ে ফিরছেন না বলেও জানান তিনি। চঞ্চল
বলেন, নতুন করে নাটকের শুটিং শুরু হয়েছে। তবে এটা তো এমন পেশা নয় যে সবাইকে শুটিংয়ে যোগ দিতে হবে। এটি স্বাধীন পেশা।
যে চাইবে সে কাজ করবে, যে চাইবে না সে করবে না। আমি আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে চাই। কারণ, এখনই শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে আমি মনে করি। শুটিংয়ে গিয়ে আমি অসুস্থ হয়ে গেলে সেই দায়ভার কে নেবে? অনেক দিন এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। স্বাভাবিক সময়েই আমরা অনেক কিছু কম্প্রোমাইজ করে কাজ করি। সেখানে এই অবস্থায় কাজের যে পরিবেশ দরকার তা আমরা কতখানি পাব, এ নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। ঈদের কাজ নিয়েও এই অভিনেতা কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার ঈদে অল্প কিছু নতুন নাটক প্রচার হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এখন সামগ্রিক পরিবেশ এতটাই অন্যরকম যে কী নাটক যাচ্ছে, কে দেখছে, তা নিয়ে কে কী বলছে তা ভাবার মানসিকতাই নেই। এর আগে একবার শুটিংয়ের জন্য দুদিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন এটিএন বাংলার জন্য হানিফ সংকেতের একটি নাটক করেছিলাম। তাও সংকেত ভাইয়ের মতো দায়িত্বশীল লোক বলে কাজটি করেছি। লকডাউনের মধ্যে আয়নাবাজি টিম একটি সিরিজ তৈরী করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চঞ্চল বলেন, শিল্পী হিসেবে ভক্তদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। শিল্পের মাধ্যমে সহজে মানুষকে সচেতন করা যায় বলেও আমি বিশ্বাস করি। আর ‘আয়নাবাজি’র মতো দর্শকপ্রিয় একটি বিষয়কে যদি সচেতনতার কাজে ব্যবহার করা যায় তা আরো ফলপ্রসূ হবে, এমন কথা চিন্তা করেই ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’ সিরিজটি তৈরি হয়েছে। আয়নাবাজির সেই টিম মেম্বাররাই কাজটি করেছে। এখন কাজটি কে কীভাবে নিয়েছে সেটা তাদের ব্যাপার। কেউ বিনোদন পেয়েছে, কেউ হয়তো কিছুটা শিক্ষা নিয়েছে। এদিকে গত ১লা জুন ছিল এই অভিনেতার জন্মদিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জন্মদিনে ঘটা করে কিছু করা না হলেও এর অনুভূতি আলাদা। সবাই খোঁজ-খবর নেয়, শুভেচ্ছা জানায়, আশীর্বাদ করে। নিজেকে স্পেশাল মনে হয়। এবারও তেমনি একটি দিন কাটালাম। আনন্দে থাকার চেষ্টা করেছি।