বগুড়ার শিবগঞ্জে বসত বাড়ির জমি জোর করে দখল করে প্রাচীর নির্মান, রাস্তা বন্ধ করা ও নিজের জমির উপর ঘর তুলতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে থানায় পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা দায়ের করেছে উভয় পক্ষ।
সরোজমিনে উপজেলার বালা বত্রিশ গ্রামে গেলে অভিযোগকারী নুরুল আলম জানান, তার বাবা এবং চাচারা তিন ভাই। সকলের জমি এক দলিল ও কোন সাইট উল্লেখ না থাকায় তারা যে যার মতো ভোগদখল করছিলো।
কিন্তু ইদানিং তার চাচাতো ভাই আবুল হোসেন আলমের যাতায়াতের রাস্তায় ঘর নির্মান করায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে আলম রাস্তার জন্য বাড়ির পাশে পৌনে এক শতক জমি ক্রয় করে। এরপর গত ১৯ মে হঠাৎ করে সন্ত্রাসী ভাড়া করে তার পরিবারের ওপর হামলা করে। আলম আরো বলেন, তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর ইটের প্রাচীর দিয়ে দখলে নেয় আবুল হোসেনসহ তার ভাইয়েরা। একই সাথে বাড়ির পাশে নিজস্ব জমিতে ঘর নির্মান করতে গেলে সন্ত্রাসীরা সেই ঘরটিও গুড়িয়ে দেয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, ভারা করা সন্ত্রাসীরা আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে আমার নামেই উল্টো থানায় মামলা দায়ের করে। পরে থানায় অভিযোগ দিলে থানা আমার মামলাও গ্রহণ করে।
আবুল হোসেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হওয়ায় সর্ব মহলে প্রভাব খাটাচ্ছে। এসময় তিনি তার ক্রয় কৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের দাবি জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে আরেক অভিযুক্ত ও মামলার তিন নম্বর আসামী শামছুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আলমের অভিযোগ বানোয়াট। এই ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান রিজু ফয়সালা করে দিছে। চেয়ারম্যানের কথা না মানতে পেরে সে নিজের ঘর নিজেই ভেঙ্গেছে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় পৃথকভাবে ২টি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।