× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীনগরে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলারজমিন

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৬ জুন ২০২০, শনিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার এক মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। গর্ভবতী নয় এমন বেশ কয়েকজনের নাম তালিকায় অন্তভুর্ক্তি করে সোনালী ব্যাংক নবীনগর শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। অথচ তালিকায় অন্তভুর্ক্ত ব্যাক্তিরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলেন নি বা ওই টাকা সম্পর্কে অবগতও ছিলেন না বলে জানা যায়। তাদের অজান্তেই তাদের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করলেও ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ওই অভিযোগ পুনরায় প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটে। এমন ভুতুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে। জানা গেছে, সরকারের দেয়া দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম গর্ভবতী নন এবং দরিদ্রও নন এমন মহিলাদের নাম অন্তভুর্ক্ত করে তালিকা তৈরি করেন। পরে ওই তালিকা উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরে জমা দিয়ে সোনালী ব্যাংক নবীনগর শাখা থেকে ওই ব্যাক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে ভাতার ওই টাকা উত্তোলন করেন।
এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মোজাম্মেল হক তার স্ত্রী রুপা বেগমের মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করলে, মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম রুপা বেগমের মাতৃত্বকালীন ভাতার ২২ হাজার টাকা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসেন। টাকা পেয়ে ওই অভিযোগ পুনরায় প্রত্যাহার করেন মোজাম্মেল হক। মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম এর বিরুদ্ধে এর আগে বিনামূল্যে সরকারি ড্রাম বিতরণেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মোজাম্মেল হক এর পিতা আব্দুর রব বলেন, আমার ছেলে অভিযোগ করার পর আল্লাহর কুদরতে ওই গায়েবী টাকা মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম আমাদের বাড়িতে এসে ভাতার ২২ হাজার টাকা দিয়ে গেছে এবং পরদিন আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ তুলে আনে। এ বিষয়ে আরেক স্থানীয় জহর মিয়ার স্ত্রী শাপলা বেগম বলেন, অভিযোগ দেয়ার পর মহিলা মেম্বার ভাতার টাকা নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে, কিন্তু আমি ওই টাকা রাখিনি। ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক সামসু মিয়া বলেন, এই পর্যন্ত যতজন টাকা উত্তোলন করছে তারা কেউ গর্ভবতী না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল ভালো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রীমহল এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরকার বলেন, অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্টকে লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মহতি উদ্যোগকে নস্যাৎ করতেই এই রকম কাজ করা হচ্ছে বলে আমার ধারণা। তিনি আরো বলেন, এরকম অভিযোগ নজির বিহীন। এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম বলেন, ৭ জন নয় ৪ জনের টাকাই আমি তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিনা আরা’র মুঠোফোনে (০১৭১৫-৭৯৯২৭২) একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা যায়নি। এ ব্যাপারে শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন সরকার জানান, এই মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ রয়েছে। তবে বর্তমানে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর