× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামগঞ্জে সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই সৎকার হচ্ছে করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ

বাংলারজমিন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
৭ জুন ২০২০, রবিবার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ে মৃত ব্যক্তি বা করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিদের দাফন নিয়ে শুরু হয়েছে নানান জটিলতা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় দেশব্যাপী ২৫শে মার্চ লকডাউনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ইসলামী ফাউন্ডেশনকে সঙ্গে নিয়ে  ৫ই এপ্রিল পশ্চিম শোশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনকে সভাপতি করে মৃত ব্যক্তিদের দাফনের জন্য রামগঞ্জ উপজেলাব্যাপী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গঠনের পর থেকে পর্যন্ত করোনা উপসর্গে ৮ জন এবং পজিটিভ ২ জন সহ ১০ জন লাশের সৎকার সম্পন্ন করে ওই সৎকার কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি লাশ দাফনের সময় প্রত্যেক কর্মীকে পিপিই, চশমা, ক্যাপ, মার্কস, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জিবাণুু নাশক ব্লিচিং পাউডার, পায়ের বুটজুতা, পরিবহন খরচ, মাইকিং খরচ, ডিস্পোজেবল ব্যাগ দেওয়ার কথা থাকলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গুণময় পোদ্দার শুধু ৪/৫টি পিপিই দিয়ে বাকি সুরক্ষা সামগ্রী না দিয়ে সরকারিভাবে সরবরাহ নেই বলে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েই লাশগুলো দাফন করতে হচ্ছে। এতে করে লাশ সৎকার কমিটির সদস্যদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা নিয়ে আতঙ্ক এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
উপজেলা লাশ দাফন কমিটির সভাপতি মো. সেলিম হোসেন জানান, এই পর্যন্ত ১০টি লাশ দাফন করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী না পেয়ে আমার কমিটির সদস্যরা দিনদিন কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে  ফেলাসহ সবাই আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের ফোন পেয়ে সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত নিজ খরচে আসতে হয়।  এরপর ডা. গুণময় পোদ্দারের নির্দেশ সত্ত্বেও হাসপাতালের স্টোরকিপার কামাল হোসেন সরকারিভাবে সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ নেই বলে জানালে শুরু হয় আরেক জটিলতা। তখন এদিক-সেদিক নিজ খরচে ফোন দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ডোনেশন নিয়ে সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ করে লাশগুলো দাফন করতে হচ্ছে।
তারপর হাসপাতালের সরকারি এম্বুলেন্স ব্যবহার নিয়েও ড্রাইভারের সঙ্গে নানান ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের রামগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত মোহাম্মদ সামছুল ইসলাম জানান, লাশ দাফনের সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে জটিলতার বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন সহ ঢাকায় উপরস্থ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দার জানান, করোনা ভাইরাসের উপসর্গে কেউ মারা গেলে আমি তাৎক্ষণিক আমার হাসপাতালের লোকজন পাঠিয়ে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করাই হলো আমার কাজ। এরপর সৎকার করার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, দাফনের পুরো দায়িত্ব সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কারণ এ সংক্রান্ত সকল ফান্ড তাদের কাছে আসে। আমি শুধু মনিটরিং করি। এরপরেও খুব শিগগিরই এ সমস্যার একটা সমাধান হয়ে যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর