× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় থমকে গেছে মৃৎশিল্প

বাংলারজমিন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
৭ জুন ২০২০, রবিবার

আদমদীঘিতে করোনার প্রভাবে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছে কুমারপাড়ার বাসিন্দারা। পাইকারি ক্রেতা না থাকায় বাড়ি হতে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে তৈরি জিনিসপত্র। এতে খরচের টাকা তুলতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। দ্রুত করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে তাদের।
জানা গেছে, আদমদীঘি ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে প্রায় ৮০-৯০টি পরিবারের জীবন ধারনের একমাত্র উপায় মৃৎশিল্প। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এখন গ্রামে নেই কোনো পাইকারী ক্রেতা এতে তৈরি শিল্প নিয়ে বিপাকে পরছে তারা। জীবন ধারনের একমাত্র উপায় বন্ধ হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি সপ্তাহে পাইকারী ব্যবসায়ী এসে সরাসরি কুমাড়দের কাছ থেকে মাল ক্রয় করে ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতো। করোনা ভাইরাস-এর ফলে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার পর হতে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় পাইকারী ক্রেতা আসছে না মাল কিনতে।
নিজেরাও কোনো গ্রামে নিয়ে যেতে পারছে না।
এতে করে তৈরি মাল বাড়ি থেকে নামমাত্র মূল্যে বিক্রয় করতে হচ্ছে। যে পাতিল বিক্রি হতো ২০-৩০টাকায় তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। বিক্রি না হওয়ায় চুলাতেই রয়ে গেছে তৈরি মাল। এ ব্যাপারে উপজেলার রামপুরা গ্রামের মৃৎশিল্পী শ্রী মিলন চন্দ্র পাল বলেন বংশগতভাবেই আমরা এই কাজ করে আসছি। আমাদের জীবন চলার একমাত্র উপায় এটি। বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর কারণে ক্রেতা না থাকায় তৈরি মাল বিক্রি করতে পারছিনা আমরা। ফলে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে আমাদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর