× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাহরাস্তিতে শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে মারলো গৃহপরিচারিকা

অনলাইন

শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) জুন ৬, ২০২০, শনিবার, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক গৃহকর্ত্রীর শিশুকন্যা জান্নাতুল মাওয়াকে (৫) হাত-পা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে মারল গৃহপরিচারিকা । অভিযুক্ত ওই গৃহপরিচালিকাকে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। শনিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার টামটা উত্তর ইউপি’র বলশীদ গ্রামের যুগীনগর তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, ওই বাড়ির মৃতঃ শামসুল হকের মেয়ে (স্বামী পরিত্যক্তা) ফাতেমা বেগম (২৫) একই বাড়ির মৃতঃ খোরশেদ আলমের (বিধবা) মেয়ে কাজল রেখার ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিল। ওই গৃহপরিচালিকা ফাতেমা ৪/৫ মাস পূর্বে অজ্ঞাত কারণে ঝিএর কাজ ছেড়ে দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। শনিবার সকালে আবার ফন্দি এঁটে ফাতেমা কাজল রেখার ঘরে আসে। সকাল সাড়ে ৯টায় ফাতেমা ওই ঘরে এসেই কাজল রেখার শিশুকন্যার জান্নাতুল মাওয়া (৫)খুঁজতে তার নিজ পুত্র আরাফাতকে (৭) ডেকে আনতে পাঠায় । ওই সময় ফাতেমার সন্তান শিশুটিকে খুঁজে পেতে বিলম্ব হলে, সে ক্ষুব্ধ হয়ে শিশু মাওয়াকে খুঁজে পায়।
পরে সুকৌশলে শিশু মাওয়াকে কাছে পেয়ে ওড়না দিয়ে তার দু'হাত বেঁধে ঘরের পার্শবর্তী গর্তে ডুবিয়ে ফেলে। কিছু সময় পর গৃহকর্ত্রী কাজল রেখা তার সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে হারিয়ে যাওয়া শিশুর স্বজনরা বাড়ির পাশে ওই গর্তেও পানিতে শিশু ভাসতে দেখেন। পরে তার স্বজনরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে শাহরাস্তি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শহীদুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক মোঃ গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফাতেমা বেগমকে আটক করে। নিহত শিশুর নানী আনোয়ারা বেগম জানান, তার নাতনীকে পানিতে ভাসতে দেখে তিনি চিৎকার করলে মাঠে কাজ করতে আসা পরানপুর গ্রামের আলী আকবরকে তাকে উদ্ধার করতে যান। ওই সময় অভিযুক্ত ফাতেমার শিশুপুত্র আরাফাত (৭) জানিয়েছে, সে তার মা কর্তৃক জান্নাতুল শিশু মাওয়াকে হাত বেঁধে পানিতে ফেলতে দেখেছে। স্থানীয়রা জানান, ৭ বছর পুর্বে আটক ফাতেমার সাথে তার স্বামী আঃ কাদেরের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, এরপর হতে শিশু পুত্র আরাফাতকে নিয়ে সে পিত্রালয়ে বসবাস করছে। একইভাবে ৫ বছর পূর্বে স্বামীর মৃত্যুর পর নিহত শিশুর মা কাজল রেখা পুত্র শুভকে (১০) শ্বশুর বাড়ি পার্শবর্তী হোসেনপুর গ্রামে রেখে ছোট সন্তান নিহত মাওয়াকে নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করতেন। নিহত শিশুটি বলশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীতে পড়তো। শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম জানান, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অনুমান মিলছে। নিহত শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর