× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে সরকারি অফিসে চালু হল দুই শিফট

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) জুন ১১, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

গণপরিবহনে সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি অফিসে চালু হল ছুই শিফটে কাজ। বুধবারই রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের দুই শিফটে কাজ করানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। এরপরেই এক নির্দেশকা জারি করে বলা হয়েছে, ১১ জুন থেকে এটি কার্যকর হবে। ডেপুটি সেক্রেটারির ওপরের পদে যারা গাড়ি ব্যবহার করেন, তাদের জন্য কোনও নির্দেশিকা নেই। প্রথম শিফট শুরু সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। চলবে দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত। দ্বিতীয় শিফট হবে ১২.৩০ থেকে, চলবে ৫.৩০ পর্যন্ত। রোটেশন অনুযায়ী সরকারি কর্মীরা কাজে আসবেন।
বর্তমানে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ৮ জুন থেকে সব সরকারি অফিস চালু করা হয়েছে। দুই শিফট চালু করাকে সরকারি কর্মীরা স্বাগত জানিয়েছেন। নতুন শিফট প্রসঙ্গে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যারা কাজে আসছেন, তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। যদিও ৫ হাজার বাস রাস্তায় নামিয়েছি। ট্যাক্সি, অটো, ক্যাব চলছে। বন্ধ আছে লোকাল ট্রেন। সরকারি কর্মীরা দুই শিফটে এলে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কষ্ট হবে না। যানবাহন অনেক পাবেন। বাসে ভিড় হবে না। অনেকে বাস পাচ্ছেন না। বাসে গাদাগাদি করে উঠলে ভিড়ে করোনা বাড়বে। যেভাবে করোনা বাড়ছে তা উদ্বেগের বিষয়। বাস পেতে দেরি হয় হোক, হুড়োহুড়ি করবেন না। বাসের সিটে বসে আসুন। এক ঘণ্টার আগে হাজিরা খাতায় লাল কালি দেওয়া হবে না। এটা আমরা বিবেচনা করব। সাইকেলে করে যাতে কর্মীরা আসতে পারেন, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও এক আবেদনে দুই শিফটে কাজ শুরু করার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাসের ওপর অনেককেই নির্ভর করতে হচ্ছে। জোয়ারের মতো মানুষ কাজে আসছেন। ইচ্ছে থাকলেও অনেকে আসতে পারছেন না। তাদের সমস্যা হচ্ছে। সব বন্ধ থাকলে হকাররা খাবেন কী ? দোকানদারেরা সংসার চালাবেন কীভাবে ? কেন্দ্র বলেছিল, লকডাউনের সময় শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে। এখন বলছে, শ্রমিকদের বেতন দিতে তারা বাধ্য নয়। সরকারি কর্মীরা তাও বেতন পাচ্ছেন। বেসরকারি কর্মীদের কী হবে ? এই কঠিন সময়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। অবিবেচনামূলক কাজ, দুরভিসন্ধিমূলক কাজ দেখতে পাচ্ছি। দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের হয়ে কথা বলার লোক কম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর