লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কলকাতার ডালহৌসি চত্বরে অফিসগুলো খুলেছে। কিন্ত অরণ্যে রোদন অফিস পাড়ার বিখ্যাত ফুড স্ট্রিটের। খদ্দের প্রায় নেই বললেই চলে প্রায় হেরিটেজ তকমা পাওয়া এই খাদ্য সরণির। আকারে আয়তনে হয়তো লাহোরের ফুড স্ট্রিটের সমকক্ষ কোনোদিনই হতে পারবেনা এই ফুড স্ট্রিট। কিন্তু দেশের মধ্যে সেরা আখ্যাটিতো মিলেছে। একদা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাইটার্স বিল্ডিং এর পাশে এই খাদ্যসরণিতে মিলতো রুটি তরকারি, ভাত মাছ মুরগির মাংস, চপ কাটলেট, ধোসা সম্বর, তান্দুরি রুটি কাশ্মীরি আলুর দম, কচুরি ডাল, সিঙ্গারা রসগোল্লা এমনকি কৃষ্ণনগর এর সরভাজা সরপুরিয়া পর্যন্ত। লাঞ্চটাইম এ তিলধারণের জায়গা থাকতো না এখানে। দিস্তে দিস্তে রুটি উড়ে যেত নিমেষে।
বাটি বাটি আলুরদম সাবাড় হয়ে যেত মুহূর্তের মধ্যে। আর এখন? মাছি তাড়াচ্ছে ফুড স্ট্রিট। অস্থায়ী দোকানগুলোর সামনের বেঞ্চগুলো ফাঁকা। দু’ চারজন মাত্র এসে খাচ্ছে। দাম কমিয়ে, নিয়মিত এলাকা স্যানিটাইজ করেও ফল হচ্ছে না। সংক্রমণের ভয়ে বাড়ির আনা খাবার খাচ্ছে সকলে। ডেকার্স লেনের বিশ্ববিখ্যাত চিত্ত দার চপ কাটলেট আর ফ্রাই এর দোকানেও ডাবল হাফ কাপ চা দিয়ে ভাজাভুজি খাওয়ার লোক নেই। ফুড স্ট্রিট এর বিখ্যাত রুটি তরকারির দোকানের মালিক শিবু শর্মা জানালেন, বিক্রি কমেছে প্রায় পঁচাত্তর শতাংশ। কলকাতা ছন্দে হয়তো ফিরেছে। কিন্তু সেই ছন্দে সুরের যেন কেমন গরমিল হয়ে গেছে।