সরকার করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না অভিযোগ করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, করোনার চিকিৎসার জন্য মানুষ হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। সরকার মানুষকে রক্ষার চেয়ে অর্থনীতি রক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী মুুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় ইন্টারনেটে যুক্ত হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনা কবে যাবে তা কেউ বলতে পারছে না। খোদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাই বলতে পারছে না। অথচ সরকারের কাছে এর গুরুত্ব নেই। সরকার লকডাউন তুলে নিয়েছে। সরকারের মনোভাব এমন যে, করোনায় মারা যাক মানুষ তবুও দুর্ভিক্ষ না হোক।
লোকজন আক্রান্ত হয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতলে ঘুরছে। ভর্তি হতে না পেরে মারা যাচ্ছে। তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ যারা তারা দশ মিনিটে টেস্ট করতে পারছেন।
এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, আমেরিকায় প্রতিবাদ করা যায়। কিন্তু দেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার লাশ কোথায় পড়ে থাকবে তা কেউ জানে না। আজকে মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছে ভর্তি হতে পারছে না। কেউ ভর্তি হতে পারলেও অক্সিজেন পাচ্ছেন না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদেরকে নিজ এলাকায় চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিজ নিজ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হবে। এভাবে নিয়ম করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে। ডাকসুর ভিপি নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, দেশে আজকে সমস্যা স্বাস্থ্য খাতের না, সব জায়গায়। তেলবাজ, চাটুকারদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানোর কারণে কোন কাজ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমি দেড় বছর ধরে পাসপোর্ট পাচ্ছি না। দেশে কোনো বিচার নাই। বিচার মানুষ পাবে কি করে কারণ প্রধান বিচারপতি নিজেই অবিচারের শিকার হচ্ছেন।