× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় ওয়ান টাইম চায়ের কাপের ব্যবসা তুঙ্গে দাম ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২০ জুন ২০২০, শনিবার

খুলনায় করোনাভাইরাস সংকটে ওয়ান টাইম চায়ের কাপের ব্যবসা এখন তুঙ্গে। অথচ অনেক ব্যবসা এখন অনেকটা বন্ধের পথে। এখন চায়ের দোকানে নেই আগের মতো কাঁচের কাপ। ওয়ান টাইম কাপের চাহিদা এখন শীর্ষে। প্রতিদিন খুলনায় সাত থেকে আট লাখ কাপ চা বিক্রি হচ্ছে। একশ’ পিস প্লাস্টিকের চায়ের কাপের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এমনই তথ্য দিলেন চায়ের কাপ বিক্রেতারা।
ওয়ান টাইম চায়ের কাপ পাইকারি বিক্রেতা বড় বাজারের ওগাবিন্দ স্টোরের মালিক ব্রজেন্দ্রনাথ সানা বলেন, তারা খুলনায় ৭/৮ জন পাইকারি বিক্রেতা রয়েছেন। এখন প্রতিদিন তার প্রায় এক লাখ পিস কাপ বিক্রি হচ্ছে।
প্লাস্টিক চায়ের কাপের দাম রাখা হচ্ছে একশ’ পিস ৭৫/৭৮ টাকা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর দিকে এ কাপের দাম ছিল একশ’ পিস ৬০/৬২ টাকা। হাজার পিস বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকায়। এখন আবার একটু কমেছে। এখন মালামাল সরবরাহ ভাল তাই দাম কিছুটা কমেছে। পেপার (কপি) কাপের দাম বেশি। কাপ তিন প্রকার রয়েছে বাজারে। ১৮০ এমএল সাইজ, ৮০ এমএল সাইজ আর ১৫০ এমএল সাইজ। সবচেয়ে চাহিদা বেশি ১৮০ এমএল সাইজের কাপ। এ কাপের দাম একশ’ পিস একশ’ টাকা। দাম বেশি হওয়ায় এ কাপ কম চলে। তবে প্লাস্টিক কাপের চাহিদা বেশি হওয়ায় ওসব কাপ বেশি চলছে।
দৌলতপুরের খুচরা চায়ের কাপ বিক্রেতা মামুন হোসেন জানান, তিনি অন্য পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে পেশা পরিবর্তন করে কাপ বিক্রি শুরু করেছেন। আগে তিনি আইসক্রিম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। করোনার কারণে আইস ক্রিম ব্যবসা ভাল যাচ্ছে না। তাই পেশা পরিবর্তন করে ওয়ান টাইম চায়ের কাপ বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি বলেন, এখন বাজারে চায়ের দু’প্রকার কাপ বিক্রি হচ্ছে। প্লাস্টিক আর পেপার কাপ। প্লাস্টিকের কাপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেশি। পেপার কাপ পাইকারি ৯০ পয়সা আর খুচরা এক টাকা করে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস। আর প্লাস্টিকের একশ’ পিস কাপের দাম খুচরা ৭৫/৮৫ টাকা মাঝে কাপের সরবরাহ কম থাকায় কাপের দাম বেড়ে একশ’ পিস ৯০ টাকা হয়। তবে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে একশ’ পিস কাপের দাম ছিল ৩৫/৪০ টাকা।
খালিশপুর পিপলস গেটের নতুন চা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি অন্য পেশায় ছিলেন। করোনার কারণে সে পেশা এখন বন্ধের পথে। এখন লাভজনক পেশা চা বিক্রি করা। তাই পুরাতন পেশা ছেড়ে নতুন পেশা চা বিক্রি শুরু করেছি। তিনি বলেন, প্লাস্টিকের চায়ের কাপ একশ’ পিস ৯৫ টাকায় আর পেপার কাপ একশ’ পিস ১১০ টাকায় কিনছেন। ক্রেতাদের কাছে ওয়ান টাইম কাপের চাহিদা এখন অনেক বেশি।
পিপলস গেটের পুরাতন চা বিক্রেতা পলাশ জানান, বর্তমানে প্লাস্টিকের একশ’ পিস কাপ দাম রাখছে ৮০ টাকা। যা আগে ছিল ৫০/৬০ টাকা শ’। কপি কাপ একশ’ পিস ১১০ টাকা দাম রাখছে। কাঁচের চায়ের কাপে আগে এক কাপ চায়ের দাম রাখা হতো চার টাকা। এখন ওয়ান টাইম কাপে দাম রাখা হচ্ছে পাঁচ টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর