ঘুষের ৫ লাখ টাকাসহ জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই’র জালে ধরা খেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর কুতুব উদ্দিন। জেলা সড়ক ও জনপথের ৪র্থ শ্রেণির ৩ কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঘুষের এই টাকা নিয়ে গিয়েছিল। তারাও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ৪ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এনএসআই। তারা হচ্ছেন অডিটর কুতুব উদ্দিন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের গার্ড আব্দুল হাই, কার্যসহকারী নজরুল ইসলাম স্বপন ও হুমায়ুন কবির। এ তিনজন আবার জেলা সড়ক বিভাগের শ্রমিক সংগঠনের নেতা। হুমায়ুন কবির ও নজরুল ইসলাম স্বপন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আবদুল হাই শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি।
এনএসআই ও পুলিশ সূত্র জানায়, সড়ক বিভাগের মাস্টাররোল কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ হওয়ার পর তাদের পূর্বের বেনিফিট হিসেবে বকেয়া বেতন-ভাতা হিসেবে কোটি টাকা আসে। বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা পেতে তারা ঘুষের টাকা নিয়ে সেখানে যায়। সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ৪৩ লাখ টাকার বিল গ্রহণের কথা ছিলো তাদের। এরজন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে যান সড়ক বিভাগের ওই তিন শ্রমিক নেতা। এরআগে বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা পেতে ঘুষের অংক নির্ধারিত হয়। হিসাব রক্ষণ অফিস ১০ পার্সেন্ট এবং সড়ক বিভাগের শ্রমিক নেতারা ৮ পার্সেন্ট টাকা থেকে কেটে রাখবে বলে ঠিক হয়। এবিষয়ে অডিটর কুতুব উদ্দিন কোন কথা বলতে রাজি হননি। অসুস্থ বলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। জেলা হিসেব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনায় তিনি অবাক হয়েছেন। পুলিশ বলছে, অডিটরসহ ৪ জন তাদের হেফাজতে রয়েছে। টাকা জব্দের তালিকা করেছেন তারা। তবে এবিষয়ে কোন মামলা হয়নি। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন জানান- এটি দুর্নীতি দমন কমিশনের এখতিয়ার। তারাই তদন্ত করবে।