করোনাজনিত কারণে দীর্ঘ লকডাউনে মানসিক অবসাদ বাড়ছে। কাজ হারিয়ে মানুষ বিপন্ন। যাদের কাজ আছে তাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এ অবসাদগ্রস্ত। এই রকমই একটি ঘটনার জেরে আত্মহননের ঘটনা পর্যন্ত ঘটলো। টালিগঞ্জে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন পঁয়ষট্টি বছরের জগদীশ আগারওয়াল। স্ট্র্যান্ড রোড এর একটি কোম্পানিতে তিনি আর্থিক উপদেষ্টার কাজ করতেন। লকডাউন শুরুর আগে নিয়মিত অফিস করতেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর আর অফিস যাননি। তাঁর পুত্র পীযুষ জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার জগদীশ বাবু একবার অফিস গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি কেমন যেন গুম মেরে যান। শনিবার সকালে অবশ্য নিয়ম মাফিক ব্রেকফাস্ট করেছিলেন। তারপরই ঘরে গিয়ে সুইসাইড করেন। টালিগঞ্জ থানার পুলিশ দেহ নামিয়ে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যায়। পোস্টমর্টেম এর পর দেহ ছাড়া হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানসিক অবসাদই জগদীশ আগারওয়াল এর আত্মহননের কারণ। বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডাঃ অমরনাথ মল্লিক জানান, লকডাউনে এক কলকাতাতেই মনোরোগীর সংখ্যা দুই শতাংশ বেড়েছে। অনভ্যস্ত পরিবেশে থাকতে থাকতে মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছে। যারা দুর্বল প্রকৃতির তারা এই অবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করছে বলে ডাঃ মল্লিক জানান।।