× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২৫ হাজার পাটকল শ্রমিককে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

প্রথম পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৯ জুন ২০২০, সোমবার

লোকসান থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। রোববার ‘শ্রমিক অবসায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ব্যবস্থাপনা মডেল সংস্কার’ নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানান তিনি। এদিকে দেশের ২৬টি পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে। লোকসানে থাকা পাটকলগুলোকে লাভজনক করার উপায় নিয়ে গত ৬ মাস ধরে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আমরা কোনো লাভ করতে পারিনি। সরকার চিন্তা করছে কীভাবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের সমস্ত টাকা বুঝিয়ে দিয়ে এই কারখানাগুলোকে আবার চালু করে পাটখাতকে এগিয়ে নেয়া যায়।

বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, পাটকলগুলোতে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের চাকরির অবসান করতে। পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়ার পর পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) মাধ্যমে পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করে উৎপাদনমুখী করা হবে। তখন এসব শ্রমিক সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ পাবেন।
২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৫৪ জন পাটকল শ্রমিক অবসরে গেছেন জানিয়ে সচিব বলেন, অর্থ সংকটে তাদের অবসর ভাতা পরিশোধ সম্ভব হয়নি। তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের পাওনা বাবদ ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গত ৪৮ বছরে সরকারকে এ খাতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে থাকা ২৬টি পাটকলের মধ্যে মনোয়ার জুট মিল বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি খাতের পাটকলগুলো লাভ দেখাতে পারলেও বিজেএমসির আওতাধীন মিলগুলো বছরের পর বছর লোকসান করে যাচ্ছে, যার পেছনে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তারা ৪৯৭ কোটি টাকার লোকসান গুনেছে। পরের বছর বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭৩ কোটি টাকায়। লোকসানের চক্কর থেকে বের হতে না পারায় কর্মীদের মজুরি বকেয়া পড়ে। বকেয়া বেতন ও ২০১৫ সালের মজুরি কমিশনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে বিজেএমসির আয়ও বছর বছর কমছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে করপোরেশনটির আয় ছিল ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছর কমে ৭০৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর