× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ফিক্সিং করো নয়তো ক্যারিয়ার শেষ’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার

পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য আকিব জাভেদ। ডানহাতি এই পেসার সমপ্রতি জানিয়েছেন, পুরো ক্যারিয়ারে জুয়াড়িদের কাছ থেকে বিভিন্ন অফার পেয়েছেন তিনি। তালিকায় ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারও। তবে বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা কোটি টাকার প্রস্তাব টলাতে পারেনি আকিব জাভেদকে। ফিক্সিংয়ের কালি লাগতে দেননি গায়ে। পাকিস্তানের একটি লোকাল চ্যানেলকে আকিব জাভেদ বলেন, ‘ক্রিকেটারদের দামী গাড়ি ও মিলিয়ন রুপি অফার করা হতো। আমাকেও ম্যাচ ফিক্সিং করার জন্য বলা হয়। হুমকি দেয়া হয় যদি ফিক্সিং না করি তাহলে আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।’
দলের মধ্যে কিছু কিছু ক্রিকেটার জুয়াড়িদের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন।
তাদের একজন সেলিম পারভেজ। পাকিস্তানের প্রয়াত এই ক্রিকেটার ১৯৮০ সালে মাত্র একটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। আকিব বলেন, ‘খেলোয়াড়রা সেলিম পারভেজ নামে একজন সাবেক ক্রিকেটারের মাধ্যমে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেতেন।’ সেলিম পারভেজের বিরুদ্ধে সেলিম মালিক ও মুশতাক আহমেদকেও টাকার বিনিময়ে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে তিনি সেটি স্বীকারও করেন। ২০১৩ সালে সেলিম পারভেজ মারা যান। ১৯৯৮ সালে অবসরে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের হয়ে ২২ টেস্ট ও ১৬৩টি ওয়ানডে খেলেছেন পেসার আকিব জাভেদ। ফিক্সিংয়ে আগ্রহী না হওয়ায় খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি অনেকের চোখে দুশমন ছিলেন। আকিব কারো নাম প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি ফিক্সিংয়ের বিষয়ে জানতাম, সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতাম। আমার ক্যারিয়ার ছোট হয়ে যাবে এই ভয় পেতাম না। নিজের নীতি-নৈতিকতায় আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। এ কারণে লোকজন আমাকে ট্যুর থেকে সাইডলাইনে রাখতে চাইতো।’
১৯৯১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করে আলোড়ন ফেলে দেন আকিব জাভেদ। কিন্তু ইমরান খান, ওয়াসিম, ওয়াকার ইউনুসদের ভীড়ে আকিব সব সময় থেকেছেন আড়ালে। টেস্টে ৫৪ ও ওয়ানডেতে ১৮২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ৪৭ বছর বয়সী আকিব ২০১৬ সাল থেকে পাকিস্তান সুপার লীগ ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক দল ও একাডেমিতেও কাজ করেছেন তিনি। তার কোচিংয়ে ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর