ইংল্যান্ডের সমর্থকগোষ্ঠি ‘বার্মি-আর্মি’ শুধু টেস্ট ক্রিকেট হলেই মাঠে হাজির হয় দলকে সমর্থন যোগাতে। সেটা দেশে হোক কিংবা বিদেশে। অন্যান্য দেশে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গ্যালারি ফাঁকা থাকলেও ইংল্যান্ডে এর ব্যাতিক্রম। টেস্টের প্রতিদিনই ভরা থাকে গ্যালারি। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে গ্রীষ্মের পুরোটাই দর্শকদের ছাড়া খেলতে হবে ইংল্যান্ডকে। সেটার মানসিক প্রস্তুতি নিতে মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তিনি বলেন, ‘দর্শকশূন্য মাঠে খেলার অনুভূতিটা হবে আলাদা। যদিও রাগবি কিংবা ফুটবলের মতো নয় ক্রিকেট।
ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ম্যাচই আমরা খুব কম সংখ্যক দর্শকের সামনে খেলি। দর্শকদের উৎসাহ সবসময় ভালো খেলতে সাহায্য করে, বিষয়টা ঠিক এরকম নয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রতিটি খেলোয়াড়কে কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আমি এ বিষয়ে পুরোপুরি সচেতন এবং ইতিমধ্যে আমাদের ক্রীড়া মনোবিদের সঙ্গে কথা বলেছি যেন সেরা পারফরমেন্স করার মতো মানসিকভাবে তৈরি থাকতে পারি।’
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক স্টুয়ার্ট ব্রডের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০১৬‘তে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে খেলে চলেছেন দাপটের সঙ্গে। টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার (১৩৮ টেস্টে ৪৭৫ উইকেট) ব্রড চাপের সময়েই নিজেকে মেলে ধরেন। বহুবারই এটা প্রমাণ করেছেন ৩৪ বছর বয়সী ইংলিশ পেসার। তিনি বলেন, ‘যখন চাপে থাকি তখন আমার সেরা ক্রিকেট বেরিয়ে আসে। এরকম পরিস্থিতিতে আবার খারাপ পারফরমেন্সেরও নজির রয়েছে। এটা নিয়েই এখন ভাবছি।’ ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে যুবরাজ সিংয়ের কাছে ছয় ছক্কার ঘটনা হয়তো এখনো ভুলতে পারেননি ব্রড। তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিলেন নবীন।
লম্বা বিরতিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন অন্যরকম এক অনুপ্রেরণা, “দলের অনুশীলন ক্যাম্পে আসার আগে মা আমাকে বলেছেন- ‘১২ বছর আগে যখন তুমি যে কোনো জায়গায় ক্রিকেট খেলতে চাইতে সে সময়টার মতো করে ক্রিকেটকে উপভোগ কর।’ তখন ছুটির দিনেও ক্রিকেট মাঠে চলে যেতাম। যদি কোনো ছুটির দিন সকালে জানালার পর্দা সরিয়ে দেখতাম বৃষ্টি হচ্ছে, তখন মনটা খারাপ হয়ে যেত। এখন সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোতে ফিরে যেতে চাওয়ার চেষ্টা করবো। এসব ভাবলে আলাদা উদ্যোম কাজ করে।”