× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাফ পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ জুন ২০২০, সোমবার
২০১৮ সাফে ভুটানের স্ট্রাইকার চেনচোকে আটকানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা; বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে

অনেকটা অনুমিতই ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে যাওয়াটা। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল সাফের ১৩তম আসর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতাটি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে সেটা হবে ২০২১ সালে। আয়োজক থাকবে বাংলাদেশই। ২০২১ সালের কখন আসরটি হতে পারে তা জানায়নি আয়োজকরা। তবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। সেই আসরটির সঙ্গেও জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।

দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ ফুটবলের আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু ১৯৯৩ সালে। প্রথম আসরের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। প্রতি দুই বছর পর পর আয়োজিত হয়ে আসা সাফের পঞ্চম আসরে গিয়ে স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
সালটা ২০০১। ১৯৯৯ সালে হওয়া চতুর্থ আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলে লাল-সবুজরা। ২০০১-এ স্বাগতিক হওয়া হয়নি বাংলাদেশের। যেকোনো জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনে সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাশত করে না ফিফা। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তেমন হস্তক্ষেপ হওয়ায় ফিফা নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশকে। প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ; হারুনুর রশিদদের কমিটি ভেঙে এস এ সুলতানকে বাফুফে সভাপতির চেয়ারে বসানোর জেরে ২০০১ সালের অক্টোবর/নভেম্বরে ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে বাফুফে। সে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে সাফের পঞ্চম আসর বসে ঢাকায়। ফাইনালে টাইব্রেকারে মালদ্বীপকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সাফের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে বাংলাদেশ। ওটাই হয়ে আছে বাংলাদেশের একমাত্র সাফের শিরোপা।

এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সাফের আয়োজক হলেও সেমিফাইনালেই বাদ পড়ে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঢাকায় হওয়া সাফের গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে জামাল-তপু বর্মনরা।

সাফ পিছিয়ের যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল এক ভিডিও বার্তায় জানান, ‘সবগুলো দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আমরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আলোচনা করেছি। সবারই আলোচনার মাধ্যমে সেপ্টেম্বরে যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল সেটা আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আগামী বছরের কবে টুর্নামেন্টটা হবে সেটা আমরা কয়েকদিনের মধ্যে আলোচনা করে জানিয়ে দিব। তবে স্থগিত হওয়া আসরের ভেন্যু থাকছে বাংলাদেশে।’

শুধু সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নয়, এ বছর সাফের তিনটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টও হওয়ার কথা। আগস্টে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, সেপ্টেম্বরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ এবং অক্টেবরে মেয়েদেরই অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের আসর। এই টুর্নামেন্টগুলোও নিশ্চিতভাবেই পেছাচ্ছে। চলতি বছরের শেষ দিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সাফের বয়সভিত্তিক এক বা দুটি টুর্নামেন্ট করার আলোচনা চলছে। যা এখনও চূড়ান্ত নয়। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরে একটি অনলাইন সভা করা হবে জানিয়ে হেলাল বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরের কোন এক সময়ে সভা করবো। তখন যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে বা সম্ভব হয় ডিসেম্বরের দিকে বয়সভিত্তিক সাফ চ্যাম্পিয়নশিপগুলো করার চেষ্টা করবো। সেটা না হলে এই তিনটি টুর্নামেন্টও আগামী বছর চলে যাবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর