× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিএটলের পুলিশমুক্ত অঞ্চলে গুলিতে কিশোর নিহত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুন ৩০, ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের সিএটলে স্বঘোষিত পুলিশমুক্ত অঞ্চলে একের পর এক গুলির শিকার হচ্ছে বাসিন্দারা। সর্বশেষ স্থানীয় সময় রোববার দিবাগত রাত ৩টায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। ১৪ বছর বয়সী অপর এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে ৬ জন ব্যক্তি গুলির শিকার হয়েছেন। এমতাবস্থায় অঞ্চলটি ফের পুলিশের এখতিয়ারে নিয়ে আসার কথা ভাবছে কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, সিএটলের স্বঘোষিত পুলিশমুক্ত অঞ্চলটি ক্যাপিটল হিল অরগানাইজড প্রোটেস্ট (চপ) নামে পরিচিত। সম্প্রতি মিনেসোটায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা ঘিরে দেশজুড়ে সৃষ্ট বিক্ষোভ সিএটলে তীব্র আকার ধারণ করে।
সপ্তাহ তিনেক আগে বর্তমানে চপ নামে পরিচিত এলাকাটিতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের কয়েক দফা বিপজ্জনক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে নিজেদের ভবন ছেড়ে চলে যায় পুলিশ। এরপর থেকে এই ভবন সংলগ্ন এলাকাটিকে পুলিশমুক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে সেটি ক্যাপিটল হিল অটোনোমাস জোন বা চ্যাজ নামে পরিচিত ছিল। শত শত বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের এ জায়গাটি গত ১০ দিনে এক আতঙ্কের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোট ৬ জন। এর মধ্যে অন্তত ২ জন মারা গেছেন। সা¤প্রতিক এ সহিংসতা বিবেচনায়, কর্মকর্তারা এলাকাটি ফের পুলিশের তদারকিতে ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন।
পুলিশকর্মীরা এক পুলিশ ব্লগে জানান, রোববার দিবাগত রাত ৩টায় চপের কনক্রিটের বেষ্টনির কাছে একটি সাদা এসইউভি দেখা গেছে। গাড়িটিতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি গুলি করেছেন। গোলাগুলিতে অন্তত দুইজন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে একজন মারা যান। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চপে পুলিশরা চলে যাওয়ার পর থেকে সেখানে অবস্থান নেন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীরা। নিজেদের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কমিউনিটি গার্ডেন তৈরি, বক্তব্য প্রদান, সিনেমা প্রদর্শনসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেন তারা। তবে স¤প্রতি সেখানে সহিংসতা তীব্র হচ্ছে। একের পর এক ঘটছে গোলাগুলির ঘটনা। প্রতিনিয়ত কমছে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর