× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হংকং বিষয়ক নিরাপত্তা আইন পাস করেছে চীন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুন ৩০, ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

বৈশ্বিক উদ্বেগ ও হংকংয়ে তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও মঙ্গলবার চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি পাস করেছে হংকং বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা আইন। চীনের এমন উদ্যোগের কড়া প্রতিবাদ আছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। এ আইন নিয়ে হংকংয়ের মানুষের মধ্যে গণতন্ত্র নিয়ে রয়েছে মারাত্মক আতঙ্ক। এই আইনটির ফলে হংকংয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন নিষিদ্ধ করা হবে। রাষ্ট্রদ্রোহ অর্থাৎ রাষ্ট্র নিয়ে কোনো দ্বিমত পোষণ করা যাবে না। করা যাবে না কোনো সন্ত্রাস সম্পর্কিত কর্মকান্ড। বিদেশী কোনো শক্তির সঙ্গে সমঝোতা করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আইনটির পূর্ণ কপি এখনও প্রকাশ হয়নি। এমনকি আইনটি পাস হওয়ার সামান্য পরেই সংবাদ সম্মেলন করেছেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। তিনিও স্বীকার করেছেন এখন পর্যন্ত এই আইনের খসড়া তিনি দেখতে পাননি। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মনে করা হচ্ছে আগামী ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হবে এই আইন। এ দিনটি হলো হংকংয়ের ওপর চীনের সার্বভৌমত্বেও ২৩তম বার্ষিকী।
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষের দিকে বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ঠিক তখন চীন এই আইনটি করার পরিকল্পনা ঘোষণা দেয়। এক্ষেত্রে হংকংয়ের আইন তৈরির প্রক্রিয়াকে বাইপাস করা হয় বা এড়িয়ে যাওয়া হয়। কারণ, বেইজিংয়ের অভিযোগ, হংকং নিজে সাংবিধানিক এই বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। হংকং বার এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং গণতন্ত্রপন্থি সিভিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যালান লিয়ং বলেছেন, এই আইনটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। কারণ, হংকংয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কোনো কিছু না জানিয়েই আইনটি পাস করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) হয়তো এই ইঙ্গিত দিতে চাইছে হংকংয়ের কর্মকর্তাদের, সিসিপি যে নির্দেশনা দেবে শুধু তাই পালন করবেন হংকংয়ের কর্মকর্তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে হংকং বছরের দ্বিতীয় অর্ধাংশ ছিল অচল। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত হংকংয়ের ব্যবসাবাণিজ্যে প্রচন্ড এক আঘাত লাগে। এর ফলে এক দশকের মধ্যে প্রথমবার মন্দা দেখা দেয়। এ কারণে বেইজিং তার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলতে পারে। বৃটেন তার সাবেক এই ঔপনিবেশ বা কলোনি যখন চীনের কাছে হস্তান্তর করে তখন একটি নীতিতে একমত হয়েছিল চীন। তা হলো ৭৫ লাখ মানুষের এই ভূখন্ড চলবে এক দেশ, দুই ব্যবস্থা নীতির অধীনে। সেখানে হংকংয়ের থাকবে নিজস্ব আইনী কাঠামো, আইন শৃংখলা রক্ষা ব্যবস্থা এবং আদালত। হংকংয়ের বেসিক ল-এর অনুচ্ছেদ ২৩ অনুযায়ী, একটি মিনি কনস্টিটিউশন বা সাংবিধানিক বডি এই ভূখন্ড শাসন করবে। তারা নিজেরা নিজের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট আইন করতে পারবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর