সংক্রমণ শুরুর পৌনে চার মাসেও বলা যাচ্ছে না কবে থামবে সংক্রমণ আর মৃত্যুর মিছিল। অনেকটা উল্কার গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যু। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে এটিই সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৪৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৬৮২ জনের। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯ হাজার ৬২৪ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৮৬৩টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন। তাদের ৩১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৫১ জন এবং বাসায় ১৩ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪৪৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ১৪৫ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪০ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৭ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৬৬ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮৩৪ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৯ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন।