× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় চ্যালেঞ্জ নিলো জালালাবাদ এসোসিয়েশন, সহায়তা কামনা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জুলাই ১, ২০২০, বুধবার, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

করোনাকালে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে জালালাবাদ এসোসিয়েশন। রাষ্ট্র ও সরকারের পাশাপাশি ঢাকাস্থ সিলেটবাসীদের এই সংগঠন ভাইরাসটির বহুমুখি প্রভাব থেকে সুরক্ষায় সিরিজ কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নেমেছে। সঙ্গে প্রবাসীদেরও যুক্ত করেছে। বিশেষতঃ সিলেটে করোনা চিকিৎসা সেবায় অসামান্য অবদান রাখছে ঢাকাস্থ জালালাবাদবাসীর প্রাচীনতম সংগঠনটি। গত ৩ মাস ধরে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এবার কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সঙ্গে মিলে করোনা রোগীদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছে, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে কাজটি খুব যে সহজ সাধ্য বা বাধাহীন হবে তা কিন্তু নয়, যদি সর্বোতভাবে রাষ্ট্র, সরকার এবং সাধারণের সাপোর্ট না মিলে। তবে উদ্যোক্তরা বেজায় আশাবাদি।
তারা বলছেন, সিলেটিরা বরাবরই দৃঢ় চিত্ত, উদার এবং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। করোনাকালও তাদের জন্য ব্যতিক্রম হবে না। জালালাবাদের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে এরইমধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বেসরকারী ওই উদ্যোগের কারণে সরকারি কাজেও গতির সঞ্চার হচ্ছে। এখন প্রয়োজন এই মুমেনটামটা ধরে রাখা। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাবেক সচিব ড. একে আবদুল মুবিন এবং সেক্রেটারি এডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমেদ তাদের পরিকল্পনার বিস্তারিত গণমাধ্যম এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন- খুব দ্রুতই করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তাবিত
সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শহরতলির খাদিমনগরস্থ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার চালু হতে যাচ্ছে। ওই সেন্টারের প্রয়োজনীয় এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়- ঢাকাস্থ জালালাবাদ নেতৃত্ব প্রবাসে অবস্থানরত জালালাবাদ এসোসিয়েশনের শাখা সমূহের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের এই মহান কাজে যুক্ত করেছে। এরইমধ্যে বৃটেনের জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ দক্ষিণ সুরমায় প্রস্তাবিত পৃথক আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ৫ হাজার পাউন্ড (যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ লক্ষের অধিক) প্রদান করেছেন।
পাশাপাশি সিলেট বিভাগের অন্য ৩ জেলা মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা ও বিভিন্ন দেশে থাকা জালালাবাদের শাখাসমূহ যথাসাধ্য সহযোগিতায় অঙ্গীকার করেছে। জালালাবাদ মনে করে দেশে এখন করোনারোগীদের অক্সিজেন সহায়তা বিশেষত সিলিন্ডারের মারাত্মক সংকট চলছে। কিডনি ফাউন্ডেশনে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সদস্যদের পাশাপাশি সামর্থবান মানুষজন তাঁদের মা বাবা এমনকি আত্মীয়স্বজনের নামে সিলিন্ডার দান করতে পারেন। অনেকে এমনটি করেছেন জানিয়ে বলা হয়- জালালাবাদ চাইছে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদানের ব্যবস্থা করতে, যা পরবর্তীতে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত থাকবে।

একনজরে জালালাবাদ যা করেছে...

এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বা অঞ্চলবাসীর জন্য যা করেছে তা হলো-

এক. সিলেট বিভাগের ডাক্তার ও নার্সদের সুরক্ষায় মার্চেই সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০০টি পিপিই প্রদান করা হয়। চার জেলার চিকিৎসক, নার্স-স্টাফদের মাঝে জালালাবাদই প্রথম পিপিই বিতরণ করে।

দুই. করোনায় কর্মহীন বা আচমকা বিপাকেপড়া ঢাকায় বসবাসরত জালালাবাদবাসী ৩০০টি পরিবারকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার নগদ সহায়তা প্রদান।

তিন. সিলেটে কোভিড-১৯ রোগীর সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের যাতায়াত সুবিধায় সার্বক্ষণিক ২টি মাইক্রোবাস কাজ করছে, যার ব্যয় বহন করছে জালালাবাদ। এ খাতে ৩ লাখ টাকা আগাম দিয়ে রাখা হয়েছে।

চার. বৃহত্তর সিলেট বিভাগের ৪ জেলা ও মহানগরীর সর্বমোট ২৫০০ পরিবারকে (রমযান মাসে) প্রায় ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান।

পাঁচ. জালালাবাদ যাকাত তহবিলের মাধ্যমে প্রায় ২৮২ টি পরিবারের মাঝে আরও প্রায় ৫ লাখ ১৯ হাজার টাকার নগদ সহায়তা প্রদান।

ছয়. প্রবাসী সিলেটি রেমিটেন্স যোদ্ধা ৭টি পরিবারকে ১৪০০০ টাকা আর্থিক প্রণোদনা প্রদান।

সাত. জালালাবাদ যাকাত তহবিল থেকে সিলেটের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের মাধ্যমে অসহায় করোনা রোগীদের সাহায্যে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান।

আট. সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান।


ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

জালালাবাদ মনে করে করোনা খুব তাড়াতাড়ি বিদায় কিংবা পুরোপুরি নির্মূল হবে না। এটি নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রভাব বা রেশ থাকবে বহু দিন। আর এ চিন্তায় করোনা উত্তরকাল বা পোস্ট কোভিড-১৯ এর জন্য কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তা হলো-

এক. গরীব ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থাকরণ।

দুই. বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের করোনা জয়ী রোগীদের আরো নিরবচ্ছিন্ন কার্যকর সহায়তা প্রদান।

তিন. জালালাবাদ এসোসিয়েশনের অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য ২ কোটি টাকা স্থায়ী তহবিল সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির নিবেদন

উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ড. মুবিন এবং সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন বিত্তশালী এবং হৃদয়বান জালালাবাদবাসীর উদ্দেশ্য একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। তাতে তারা লিখেন- প্রিয় জালালাবাদবাসী, করোনা ভাইরাস ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাস করতে চলেছে। পৃথিবী তার আপন জৌলুশ হারিয়েছে বহু আগেই। মানুষ যে কতটা অসহায়? তা আমরা বোধ করছি প্রতিনিয়ত। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে জালালাবাদ এসোসিয়েশন কিছু কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিস্তৃতভাবে বলা হয়েছে। এতে আমি/আমরা আপনাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি (বৃহত্তর সিলেটবাসী) যে যেখানে থাকুন না কেন মহামারির এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানবসেবায় এগিয়ে আসুন। জালালাবাদ তহবিলে আপনাদের মূল্যবান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, আপনজনদের পাশে দাঁড়ান।

সাহায্য পাঠাবার ঠিকানাঃ
Jalalabad Association Relief fund :
A/C# 0557101045286.
Jalalabad Association Zakat fund:
A/C# 0557101093925.
Pubali Bank ltd.
Kawran Bazar Br. dhaka
BKash +8801722912748.
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর