× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বউকে আলমারির ভেতর লুকিয়ে রক্ষা পান সাকলাইন

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১ জুলাই ২০২০, বুধবার

 

পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলাইন মুশতাক বিয়ে করেন ১৯৯৮ সালে। পরের বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে গেলেন। টুর্নামেন্টের মাঝপথে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিয়ম করলো, টিম হোটেলে বউকে আর সঙ্গে রাখতে পারবে না খেলোয়াড়রা। সাকলাইন কথা শুনলেন না। নির্দেশনার পরও বউকে রাখলেন টিম হোটেলে। এরপর একদিন কক্ষ পরিদর্শনে এলেন পিসিবির ক’জন কর্মকর্তা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে সেদিন কী করেছিলেন সাকলাইন?

দরজায় টোকা পড়ার পর পরই বউকে দ্রুত আলমারির ভেতর ঢুকে যেতে বলেন সাকলাইন। এ যাত্রায় রক্ষা পান।

তবে কিছুক্ষণ পর সতীর্থ আজহার মাহমুদ ও মোহাম্মদ ইউসুফ তার কক্ষে আসেন। আজহার-ইউসুফ ধরে ফেলেন যে রুমে কেউ আছে। সাকলাইনও শেষ অবধি নতি স্বীকার করে বউকে বেরিয়ে আসতে বলেন।

রওনক কাপুরের শো ‘Beyond The Field’-এ সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবেক এই অফস্পিনার বলেন, ‘ম্যানেজার, কোচ প্রায়ই আমাদের রুম চেক করতে আসতো। আমাদের সতীর্থরাও আসতো মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে। তো একদিন দরজায় টোকার আওয়াজ পেলাম। আমার স্ত্রীকে বললাম আলমারির ভেতর লুকাতে। ম্যানেজার এলেন, দেখলেন এবং চলে গেলেন। আরেকজন কর্মকর্তা এলেন, তিনিও ফিরে গেলেন। আমার স্ত্রী তখনো আলমারির ভেতর। এরপর আজহার (মাহমুদ) ও ইউসুফ এলো আমার সঙ্গে নতুন নিয়মের বিষয়ে কথা বলতে। তারা বুঝে ফেললো যে আমার স্ত্রী ঘরেই আছে। তাদের কাছে হার মেনে আমি আমার স্ত্রীকে বেরিয়ে আসতে বললাম।’

পরে কায়দা করে ব্যাপারটা পিসিবি অফিসিয়ালদের থেকে আড়াল করেছিলেন সাকলাইন। টুর্নামেন্টে তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের সেরা বোলার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফিটা রেখে আসতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার হাতে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর