ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে কথিত অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কবির হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। তাকে বেদম মারপিট করা হয়েছে। বুধবার রাতে সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রবাসির স্ত্রী রেক্সোনার দাবী তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কবির মেম্বরকে বাইরে তেকে ধরে এনে তার ঘরে ঢুকিয়ে আসামাজিক কাজের দুর্নমা রটানো হচ্ছে। প্রতিবেশি আশির উদ্দীন জানান, সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য কবির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ওমান প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল। এর আগের বেশ এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস করেছে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া। রেক্সোনার শ্বাশুড়ি ছারা খাতুন অভিযোগ করেন, বুধবার রাত ১২ টার দিকে কবির মেম্বর তার পুত্রবধুর ঘরে ঢুকে ধরা পড়ে।
এ সময় জামাই আব্দুর রাজ্জাক ঘরে আটকিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ইউপি সদস্য কবির হোসেন অভিযাগ খন্ডন করে বলেন, রাতে আমি ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলোম। এ সময় আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে ওই মহিলার ঘরে ঢুকিয়ে দুর্নাম রটিয়ে দেয়। প্রবাসির স্ত্রী রেক্সোনা খাতুন জানান, সন্ধ্যা থেকেই আমার ঘরের পেছনে কিছু উঠতি বয়সী যুবক খোকন, আশিক, কাজল ও রাজ্জাক অবস্থান নেয় এবং তারাই কবির মেম্বরকে কোথা থেকে ধরে এনে আমার ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। আমি ঘর খুলতে রাজি না হলে তারা আমার ঘরের দজরা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও আমার সোনার হার নিয়ে যায়। কবিরের সাথে আমার মিথ্যা দোষারোপ করে কিছু মানুষ ভিলেজ পলিটিক্স করছে বলেও রেক্সোনা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, কবির মেম্বর এখন পুলিশ হেফাজতে। কেও মামলা না করলে এ বিষয়ে টু-টয়েন্টি ধারায় একটি মামলা হবে। তিনি বলেন ভিকটিম রেক্সোনা মামলা দিলেও আমরা মামলা গ্রহন করবো।