করোনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহমীম নাহার সহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এসএম শরীফ আফজাল আক্রান্ত হয়েছেন। একইদিন তৌহিদুল ইসলাম নামের একজন দর্জি আক্রান্ত হন। এরা সবাই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪৬ জনে। এখন পর্যন্ত সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২০ জন। গত বুধবার রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ওসি ও তার স্ত্রী বর্তমানে থানার কোয়ার্টারে আইসোলেশনে রয়েছেন। চিকিৎসক এস এম শরীফ আফজাল সম্প্রতি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে যোগদান করেন।
পরে তাকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ১৪ দিন দায়িত্ব পালন করেন। করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তেতুঁলিয়া মডেল থানায় নতুন এক এসআই জেলার বাইরে থেকে আসার পর ওসি ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আক্রান্ত দর্জির বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভাধীন কামাতপাড়া এলাকায়। তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কাশেম এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজা বেগম রিনা বলেন, আক্রান্তরা সবাই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ২ হাজার ১৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর ২ হাজার ১০৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৪৬ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৫৭ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৪৯ জন, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১৬ জন, আটোয়ারী উপজেলায় ১০ জন ও বোদা উপজেলায় ১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২০ জন ও মারা গেছেন ৩ জন। বাকি ২৩ জন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।