তাতেন্দা তাইবু জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার, টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্যাপ্টেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়ক হয়েছিলেন। ছোটোখাটো গড়ন, মায়াবী চেহারা, ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে শুরুতেই ক্রিকেট দুনিয়ায় পরিচিত হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের কাছে কয়েকটি ম্যাচ হারার জন্যও দায়ী তাতেন্দার অসাধারণ পারফরম্যান্স।
২০১৬ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিভারপুল এবং জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় বিভাগে খেলোয়াড়-কোচ-উন্নয়ন-কর্মকর্তা হিসেবে হাইটাউন সেইন্ট মেরি কলেজে যোগদান করেছিলেন। গত বছর তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘কিপার অফ ফেইথ’ প্রকাশিত হয়। বইতে তাইবু লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে তাকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের এক মন্ত্রী। প্রথমে তাকে টাকা নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার প্রস্তাব। রাজি না হওয়ায় একটি খাম তাইবুর হাতে দেয়া হয়েছিল।
খামে রাষ্ট্রের বিরোধিতা করলে কী হতে পারে, তা লেখা ছিল। কঠিন ওই সময়ে তাইবুর স্ত্রীকে অপরহণের চেষ্টা করা হয়েছিল। বাড়ির বাইরে সরকারি গাড়ি তাদের পিছু নিত।
-আপনি এখন কোথায়?যুক্তরাজ্যে, লিভারপুলে।
-সহসা কি জিম্বাবুয়ে যাচ্ছেন?(হেসে) মনে হয় না। বই লেখার পর জিম্বাবুয়ের প্রভাবশালী অনেকে ক্ষেপে আছে আমার ওপর। আপাতত এখান থেকে সরছি না। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করছি।
-করোনাকালীন এই ভিন্ন পরিস্থিতিতে কেমন কাটছে পরিবার নিয়ে?কিছুদিন আগেও তো অনেকে মারা যাচ্ছিল। এখন কিছুটা কমেছে। আমার এক ছেলে স্কুলে যাচ্ছে। স্ত্রী-ও পড়াশোনা শুরু করবে।
-ক্রিকেট কেমন চলছে?ক্লাবে গিয়ে নিয়মিতই খেলছি। যদিও এ মৌসুমে আর খেলা হবে না।
-করোনাভাইরাস বিষয়ে আপনার অভিমত কি?আমি শুরুতেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম এটা কমপক্ষে দুই বছর থাকবে। তাই এর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে চলতে হবে।
-বাংলাদেশে আপনার খুদে এবং তরুণ ভক্তদের জন্য কোনো পরামর্শ?আপনি জীবনে যাই বেছে নিন না কেন, চেষ্টা করলে আপনি তাতে ভালো করতে পারবেন। আপনি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন, প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এগুলো আসল চ্যালেঞ্জ নয়। আসল চ্যালেঞ্জ হলো প্রচুর অর্থোপার্জন করার পর, জনপ্রিয় হয়ে উঠার পর বিনয়ী হতে পারা। অনেকে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইবে, দেখা করতে চাইবে। তখনই বোঝা যাবে আপনি কেমন মানুষ।