জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দারুণ একটা সিরিজ পার করার পরও ২০১৮ সালে ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন ইমরুল কায়েস। পরের বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও ভেস্তে যায় তার। বাদ পড়ার ব্যাপারটা বিস্মিত করেছিল এই বাঁহাতি ওপেনারকে। ইমরুলের দাবি, সেই বাদ পড়াটা তার ক্যারিয়ারের বড় ক্ষতি করে দিয়েছে। কারণ এরপর আর দলে থিতু হতে পারছেন না তিনি। ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকফ্রেঞ্জিকে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছিলাম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে আমি ছিলাম রেকর্ড রান সংগ্রাহক। ওপেনিংয়ে খেলেছিলাম।
পরের সিরিজে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) আমাকে তিনে নামিয়ে দেয়া হলো। আমি ভালো করতে পারিনি সেখানে। ব্যাটিং পজিশন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এরপর আমি বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ি। হতাশ হয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়ার জন্য নিজের সেরাটা দিয়েছি আমি। ওটা হজম করা কঠিন ছিল কিন্তু কি-ই বা করার আছে! আমার মনে হয় আমাকে বলির পাঁঠা বানানো সবসময় সহজ।’
৩৩ বছর বয়সী ইমরুলের নামে একটা কথা প্রচলিত আছে- তিনি শুধু জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষেই রান করেন। তার প্রতি দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের এমন মনোভাবে ক্ষুব্ধ ইমরুল। তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা কেবল বর্তমান দেখে। যখনই আমি রান করি ওরা বলে আমি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রান করেছি। কিন্তু অন্য ক্রিকেটাররা একই দলের বিপক্ষে ভালো খেলে প্রশংসা কুড়ায়।’ জিম্বাবুয়ের ওই সিরিজের একটি ম্যাচে চাপের মুখে ১৪৪ করেছিলেন ইমরুল।