ফেনীর দাগনভূঞায় পালক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা মাহমুদুল হক বাচ্চুকে (৫০) আটক করেছে র্যাব। গতকাল ভোরে দাগনভূঞার উত্তর গজারিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বাচ্চু উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির ওবায়দুল হকের ছেলে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান। পালক বাবার লালসার শিকার ১৪ বছর বয়সী কিশোরীটি বর্তমানে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, পঞ্চাশোর্ধ মাহমুদুল হক বাচ্চু বিয়ের কয়েক বছর পরও নিজের কোন সন্তান না হওয়ায় স্ত্রী খোতেজা বেগমের অনুরোধে গত ৯ বছর পূর্বে ৫ বছর বয়সী এ শিশু মেয়েটিকে দত্তক নেয়। সম্প্রতি মেয়েটির সাথে জোর করে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মাহমুদুল হক বাচ্চু। নির্যাতনের কথা পালক বাবা কাউকে বলতে নিষেধ করার এক পর্যায়ে কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত জুন মাসের প্রথম দিকে পালক মা ও খালারা কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে।
পরে তারা গত ২৩শে জুন কিশোরীটিকে গোপনে উপজেলার ইউনিক হাসপাতালে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করালে কিশোরীটি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বাকবিতন্ডার পর বাচ্চুর স্ত্রী খোতেজা বাবার বাড়ি চলে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হানকে জানালে বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে যায় চেয়ারম্যান। এসময় কৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মাহমুদুল হক বাচ্চু। পরে নির্যাতিত কিশোরীসহ তার পালক মায়ের সাথে কথা বলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন চেয়ারম্যান মাসুদ। দাগনভূঞা ইউনিক হাসপাতালের পরিচালক নাছির উদ্দিন আজাদ জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার সময় কিশোরীর স্বজনরা বয়স দেখিয়েছিলো ১৮ বছর। দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে মৌখিকভাবে কিশোরী নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্ক অবগত হলেও থানায় কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত মাহমুদুল হক বাচ্চুকে দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে র্যাব।