তুরস্কের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ন্যাটোর সামরিক অভিযান থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্স ন্যাটোর অপারেশন সি গার্ডিয়ান অভিযানে থাকছে না। দেশটির অভিযোগ, তুরস্ক লিবিয়াতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করছে। এমতাবস্থায় তাদের সঙ্গে কোনো যৌথ অভিযানে ইচ্ছুক নয় প্যারিস। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভ’মধ্যসাগরে ফ্রেঞ্চ যুদ্ধজাহাজকে হুমকি প্রদর্শন করেছে তুর্কির কয়েকটি জাহাজ। তবে ফ্রান্সের এমন অভিযোগ কঠিনভাবে অস্বীকার করেছে তুরস্ক। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে ন্যাটোভুক্ত দেশদুটি। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
লিবিয়ায় ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুহাম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ন্যাটো। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
যুদ্ধের একপাশে রয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার (জিএনএ)। একে সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। অপরপাশে রয়েছেন বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতার। তাকে সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটোর আরেক সদস্য ফ্রান্স। এছাড়া, সিরিয়ায় তুরস্কের আগ্রাসন এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভ’মধ্যসাগরে তুরস্কের প্রাকৃতিক সম্পদ খননের মতো কারণে দেশটির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ফ্রান্স। তবে গত ১০ জুন একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রিগেট করবেট ভ’মধ্যসাগরে একটি তানজেনিয়ার পতাকাধারী জাহাজে অনুসন্ধান চালাতে যায়। ফ্রান্সের ধারণা, ওই জাহাজে করে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু সেসময় একটি তুরস্কের জাহাজ চলে আসে ঘটনাস্থলে এবং তারা ফ্রেঞ্চ ফ্রিগেটকে অস্ত্র চোরাচালানকারি জাহাজে অনুসন্ধানে বাঁধা দেয়। এমনকি তারা তিনবার নিজেদের অস্ত্র ব্যবস্থাকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত করে বলে জানায় ফ্রান্স।
এ ঘটনার পর থেকেই তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের চ’ড়ান্ত অবনতি হয় ফ্রান্সের। দেশটির দাবি, লিবিয়ায় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছে তুরস্ক। তুরস্ক একাধিকবার এমন দাবি অস্বীকার করেছে। তবে সর্বশেষ তুরস্ককে চাপে ফেলতে নিজেকে ন্যাটোর অভিযান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ফ্রান্স।