× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এরদোগান-ম্যাক্রোঁর দ্বন্দ্ব সংকটে ফেলছে ন্যাটোকে, অভিযান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স

বিশ্বজমিন

আব্দুল মোমিত (রোমেল) ফ্রান্সে থেকে
(৩ বছর আগে) জুলাই ৩, ২০২০, শুক্রবার, ৪:০০ পূর্বাহ্ন

ন্যাটো প্রসঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখন প্রকাশ্যে। ফ্রান্স ও জার্মানিসহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ন্যাটোর প্রতি এখনো আস্থাশীল। স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিরোস্লাভ লাইচাক গত বছর বার্লিন সফরের সময় ন্যাটোতে কোনো বিভক্তি বা সংকট নেই বলে মন্তব্য করেন। বরং ম্যাক্রোঁ বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজ দেশেই আলোচিত বলে তিনি জানিয়েছিলেন । ফ্রান্স ন্যাটোর সমুদ্র অভিযান থেকে নিজেদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে যে তুরস্ক লিবিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ‘মানছে না’। ফ্রান্স, তুরস্কের সাথে বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর ন্যাটোর একটি নিরাপত্তা তৎপরতায় তাদের ভূমিকা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে তুরস্ক, লিবিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় অপারেশন সি গার্ডিয়ান নামে সাগরে ন্যাটোর নিরাপত্তা অভিযানে ফ্রান্স এখন অংশ নেবে না। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে ফ্রান্স অভিযোগ করে যে, তুরস্কের জাহাজ, ভূমধ্যসাগরে ফরাসী রণতরীকে লক্ষ্য করে তাদের অস্ত্র তাক করেছে, যে অভিযোগ তুরস্ক জোরেসোরে অস্বীকার করেছে ।
এর আগে গত বছর স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন ন্যাটোর সদস্যরা ৫ নম্বর আর্টিকেলের প্রতি এখনো অবিচল আছে। এখানেই ম্যাক্রো প্রশ্ন তুলেছেন ।
তিনি বলেছেন, সদস্যদেশগুলোর অনেকেই সম্মিলিতভাবে হুমকি মোকাবিলায় ৫ নম্বর আর্টিকেল অনুসরণ করছে না। এখানে তিনি তুরস্কের উদাহরণ দিয়েছেন। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হাওয়ার পরও নিজস্ব নিরাপত্তার কথা বলে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল ক্রয় করছে। তুরস্ক এই মিসাইল আপাতত ইরান, জর্ডান বা সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না। যদি কখনো করে তবে তা ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারে। আবার তুরস্কে ন্যাটোর মিসাইলও নিয়োজিত আছে। রাশিয়ার সঙ্গে এরদোয়ানের মাখামাখি চোখে পড়ার মতোই। উত্তর সিরিয়া অভিযানে তুরস্ক রাশিয়ার সঙ্গে অলিখিত সমঝোতা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িতদের পক্ষ সমর্থনের ব্যাপারে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী ২০১১ সালে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তেল সমৃদ্ধ দেশটি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রধান একটা ট্রানজিট দেশ হয়ে উঠেছে লিবিয়া।
বর্তমানে লিবিয়ায় জাতিসঙ্ঘের সমর্থন পুষ্ট সরকার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খালিফা হাফতারের বাহিনীর সাথে লড়ছে। লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ এই মুহূর্তে খালিফা হাফতারের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর