কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নিজ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম মাস্টারকে গ্রেপ্তার করেছে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। গতকাল দুপুর ২টার দিকে নরসিংদী জেলার আমিরগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে মানুষ যখন দিশাহারা। তখন সরকারি নির্দেশে সারাদেশে স্কুল-কলেজে পাঠদানসহ প্রাইভেট কোচিংয়ে পড়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ ঘোষণা করা হলেও, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে প্রাইভেট পড়ানোর অজুহাতে উপজেলার দড়িগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া (৪২) তার নিজ বাড়িতে একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ায়। এ সময় তার স্কুলের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গত ১৭ জুন বুধবার ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সেলিম মাস্টারকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন মঙ্গলবার সকালে দড়িগাঁও গ্রামের মো. আপেল মিয়ার কন্যা দড়িগাঁও সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৫ম শ্রেণির ছাত্রী (১১) প্রতিদিনের ন্যায় ওই সেলিম মাস্টারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট রুমে ওই ছাত্রিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করে।
পরে ওই স্কুল ছাত্রী বাড়িতে এসে কান্না-কাটি করে তার মায়ের নিকট এ ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় দড়িগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এ বিষয় কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা মামলার জন্য বড় অগ্রগতি। অন্যান্য আসামীদেরকেও গেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কবির উল্লাহ ও ডুমরাকান্দা ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।