টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার দায়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের আন্ধরা গ্রামের অমৃত মণ্ডলের মেয়ের জামাতা পলাশ রায় (৩৫), অমৃত মণ্ডলেরই ছেলে সঞ্জয় মণ্ডল (২৩)। গ্রেপ্তারকৃতরা সম্পর্কে শ্যালক দুলাভাই। গত সোমবার উপজেলার আন্ধরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটলেও শিশুটির বাবা গত বুধবার মির্জাপুর থানায় এ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরবর্তীতে ওইদিনই এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ঘটনাটি থানা-পুলিশ পর্যন্ত আসার আগে এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। থানায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিশুর বাবা একজন গাড়িচালক ও মা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। ঘটনার দিন প্রতিদিনকার মতো সকালে তারা কর্মস্থলে চলে গেলে দুপুরের দিকে নির্জন বাড়িতে ওই শিশুকে একলা পেয়ে ধর্ষণ করে পলাশ মণ্ডল।
এতে সহযোগিতা করে তারই শ্যালক সঞ্জয়। সে সময় শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় পলাশ ও সঞ্জয়। বর্তমানে মেয়েটি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়েটির বাবা এই প্রতিবেদক বলেন, ঘটনার পর থেকে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে এই ঘটনা নিয়ে আপস করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তাই থানায় মামলা করতেও বিলম্ব হয়েছে। ধর্ষকরা গ্রেপ্তার হয়েছে। যারা এই ঘটনা ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে আরেকটি মামলা করেছি। আমি এই ঘটনায় জড়িত সবারই উপযুক্ত শাস্তি চাই। মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, এ ঘটনায় করা অভিযোগটি আমরা মামলা আকারে নেয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।