× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় বাড়িওয়ালার অমানবিকতা /ভাড়ার কারণে হোস্টেলের মালপত্র ডাস্টবিনে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৪ জুলাই ২০২০, শনিবার

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বকেয়া ভাড়ার কারণে একটি হোস্টেলের মালিক শিক্ষার্থী এবং চাকরিজীবীদের মালপত্র ডাস্টবিনে এবং গ্যারেজে ফেলে দিয়েছেন। কলাবাগানের ৪/এ, ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিটের একটি হোস্টেল এবং পূর্ব-রাজাবাজারের  আলিফ হোস্টেলে গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কলাবাগান থানায় ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাড়ির মালিক মুজিবুল হক কাঞ্চন ও আলিফ  হোস্টেলের মালিক সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কলাবাগান থানার ৪/এ, ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ট্রিটের রুবি ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ঢাকা কলেজের আটজন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী থাকতেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তারা বাড়ি চলে যান। বুধবার রাতে তারা কয়েকজন ঢাকায় আসেন। দেখতে পান, তাদের ফ্ল্যাট থেকে সবকিছু ফেলে দেয়া হয়েছে।
এসএসসি-এইচএসসি সার্টিফিকেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্রও ছিল এসবের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে তারা গ্রিন  রোডের একটি ডাস্টবিন থেকে কিছু জিনিস খুঁজে পান। পরে তারা কলাবাগান থানায় গিয়ে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এদিকে, পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আলিফ হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়ি চলে যান। তাদের অনেকেই হোস্টেলের ভাড়া দিতে পারেননি। এ অবস্থায় হোস্টেল মালিক সৈকত ও কেয়ারটেকার খোরশেদ বুধবার  রাতে ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মালামাল বের করে ফেলে দেন। শিক্ষার্থীদের ট্রাংক ও ভারী মালামাল হোস্টেলের গ্যারেজে ফেলে দেন। আর জামা পোশাক ও বইপত্র পান্থপথের একটি ডাস্টবিনে ফেলে দেন তারা। ওই ডাস্টবিন থেকে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী কলাবাগান থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগে কলাবাগান থানায় ২টি আলাদা মামলা হয়েছে। কাগজপত্রসহ কিছু মালামাল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করেছেন। সার্টিফিকেট, ল্যাপটপসহ আরো অনেক কিছুই তারা খুঁজে পাননি। দুই বাড়ির মালিককে পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর