× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিদেশি বিনিয়োগেও করোনার প্রভাব

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৫ জুলাই ২০২০, রবিবার

মহামারি করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিদেশি বিনিয়োগে। সদ্য সমাপ্ত (২০১৯-২০) অর্থবছরের (জুলাই-মে) ১১ মাসে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আশঙ্কাজনকহারে কমছে। অন্যদিকে দেশের শেয়ার বাজারের বিদেশিরা বিনিয়োগ (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) যে পরিমাণ করেছে তারে চেয়ে বেশি তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর করা হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের ১১ মাসে বিভিন্ন খাতে সবমিলিয়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই কমেছে ১৩.৮০ শতাংশ ও নিট কমেছে ১৯.০৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে এফডিআই ছিল ৪৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং যার মধ্যে নিট এফডিআই পেয়েছিল ২৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

আলোচিত সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) যা এসেছিল তার চেয়ে বেশি তুলে নিয়ে গেছে।
গত অর্থবছরেও দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কম ছিল। এবার ধস নেমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (নিট) ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের এই ১১ মাসে বিদেশিরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তার থেকে ৭০ লাখ ডলার বেশি তুলে নিয়ে গেছে। এদিকে করোনায় রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৯০ লাখ (১৬.০৭ বিলিয়ন) ডলার। বহির্বিশ্বের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের অবস্থাও ঋণাত্মক রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩ হাজার ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৪ হাজার ৬২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে মে’র শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে) যা প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। ঘাটতির এ অংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আলোচিত সময়ে, আমদানি কমেছে ১০.৮১ শতাংশ। রপ্তানি কমেছে ১৮.১৬ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮.৭৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকলেও গত সেপ্টেম্বর থেকে তা ঋণাত্মক হয়েছে। মে’র শেষে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছর উদ্বৃত্তের ধারা অব্যাহত থাকলেও গেল অর্থবছরে ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে। এপ্রিলেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত অর্থবছরের মে’র শেষে চলতি হিসাবে ৪৩৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরের সার্বিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে প্রথম ১১ মাসে সামগ্রিক লেনদেনে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৬৩ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

যা গত অর্থবছরের একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেনে ৬৮ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। আলোচিত সময়ে সেবা খাতে বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কম রয়েছে। বিদেশিদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়। জুলাই-মে সময়ে এ খাতে ঘাটতি দঁািড়য়েছে ২৭৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৯৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর