× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জুলাই ৬, ২০২০, সোমবার, ৩:১২ পূর্বাহ্ন

ঋণ খেলাপির দায়ে বেসরকারি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি মাসে ওয়ান ব্যাংককে এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেয়া হয়েছে, যা ১৫ই অক্টোবর ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের নিয়মিত পরিশোধ না করায় পরবর্তীতে তা খেলাপি হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী একজন খেলাপি ব্যাংকের পরিচালক থাকতে পারেন না। এ কারণে চলতি মাসে ওয়ান ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে যে ১৫ই অক্টোবর ২০১৯ সাল থেকে সাঈদ হোসেন চৌধুরী ওই ব্যাংকের পরিচালক নন।

জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ হোসেন চৌধুরী। আরএ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং লাইনসের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেন। তবে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার দায়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের খেলাপির তালিকায় রয়েছে তার নাম।
তার পাওনা আদায়ে বন্ধকিতে থাকা চট্টগ্রামের সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং লাইনসের কাছে সুদসহ মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আর এ পাওনা আদায়ে সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান আরাকান এক্সপ্রেস লিমিটেডের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ৩১ দশমিক ৮০ ডিসিমেল জমির ওপর নির্মিত বাণিজ্যিক শেড ও সংশ্লিষ্ট সব ধরনের স্থাপনা নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি নেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পারিবারিকভাবেই তাদের শিপিং লাইনস হানজিন ও পিআইএলসহ বেশ কয়েকটি শিপিং লাইনসের ব্যবসা ছিল। সে সুবাদে নিজেই এইচআরসি শিপিং লাইনস নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক সময় আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য আনা-নেয়ায় প্রায় আটটি জাহাজ ছিল এ কোম্পানির বহরে। তবে বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই। এছাড়া বারিধি শিপিং লাইনস লিমিটেড, এভারগ্রিন, বাংলাদেশ ল্যান্ড লিমিটেড, এইচআরসি সিন্ডিকেট, এইচআরসি ট্রাভেলস, এইচআরসি লাইটিং, এইচআরসি প্রপার্টিজ, এইচআরসি শিপিং, এইচআরসি মিডিয়া, আরাকান এক্সপ্রেস লিমিটেডসহ মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছেন সাঈদ হোসেন চৌধুরী। তবে সামগ্রিকভাবে এ গ্রুপের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনেকটা কমে এসেছে।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকার সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ভাই। তাদের বাবা হেদায়েত হোসেন চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি পূর্ব পাকিস্তান চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে সাঈদ হোসেন চৌধুরী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ ও ব্যাংকের কোম্পানি সচিবের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে খেলাপি ঋণ সংশ্লিষ্টতার কারণে পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাদ পড়েছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বর্তমান পরিচালক শিল্পপতি এ এস এম ফিরোজ আলম। রোববার (৫ই জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, এ এস এম ফিরোজ আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণ থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১৫(৬)(উ) ধারা বিধান অনুযায়ী এ এস এম ফিরোজ আলমকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই।

ওই চিঠিতে এ কে এম সহিদ রেজা, আলহাজ মোশারফ হোসেন এবং এম আমান উল্লাহকে ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর