× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মির্জাপুর পৌর এলাকায় বেড়েছে মশার উৎপাত

বাংলারজমিন

মো. জোবায়ের হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে
৬ জুলাই ২০২০, সোমবার

 চলছে বর্ষাকাল। বিগত কিছুদিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ধরনের বৃষ্টিপাত ডেঙ্গুবাহি এডিস মশার প্রজনন সহায়ক। তাই শঙ্কা রয়েছে ডেঙ্গুবাহি এডিস মশার বংশ বিস্তারের। ইতোমধ্যে উপজেলার বিশেষ করে পৌর এলাকায় বেড়ে গেছে মশার উৎপাত। এনিয়ে জনমনে কিছুটা হলেও ‘ডেঙ্গু’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেননা গেল বছর উপজেলায় ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মানুষ হাসপাতালে গিয়েছে। এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে এই ডেঙ্গু জ¦রে।
সরজমিন, উপজেলার পৌর শহরে বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করে মশার প্রজনন সহায়ক নোংরা ও জমাটবদ্ধ পানির দেখা মিলেছে।
এরমধ্যে পৌরসভার অভ্যন্তরে পানি নিষ্কাশনের কিছু ড্রেন রয়েছে যেগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ময়লা পানিতে ড্রেনের অবস্থা এমন হয়েছে যে সেখান দিয়ে পানি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ফলে উক্ত স্থানগুলোতে ব্যাপকভাবে মশা জন্ম নিচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু বাসাবাড়ির আঙ্গিনাতেও মিলেছে মশা প্রজননের সহায়ক পরিবেশ।
পৌর ৩ নং ওয়ার্ডের এক নারী ভাড়াটিয়া স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন এর বাসভবনের পশ্চিমাংশে থাকা একটি ড্রেনের দেখিয়ে জানান, আমি এই এলাকায় ৯ মাস যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে আছি। এই সময়ের মধ্যে কখনোই এই ড্রেনটি পরিষ্কার করতে দেখিনি। সম্প্রতি মশার উৎপাত অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি। একই ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন আগে মশারি ছাড়া ঘুমানো গেলেও এখন আর সেই সুযোগ নেই। ব্যাপকভাবে মশার উৎপাত বেড়ে গেছে। মশারিও মানতে চায়না।
সচেতনদের অভিমত, যেহেতু ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সাধারণত জ¦র, মাথা ব্যাথার মতো উপসর্গগুলো দেখা দেয় যা করোনা উপসর্গের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাই ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ নির্নয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা অনেকটাই ব্যহত। এরমধ্যে জ¦রের মতো উপসর্গ নিয়ে কেউ চিকিৎসা নিতে গেলে দেখা দিতে পারে জটিলতা।
তবে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়নি।
মির্জাপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র চন্দনা দে বলেন, মশার ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। আমরা মশা নিধনে পৌর এলাকায় স্প্রে শুরু করেছি। তবে বেশকিছু জায়গায় ড্রেনের নাজুক অবস্থার ব্যাপারে তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু ড্রেন পরিষ্কার করার জন্যও বলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর