মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে কুয়েতে সিআইডির হাতে গ্রেফতার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল বিষয়ে এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো তথ্য পায়নি বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। এমপি পাপুল আটকাদেশের এক মাসে (গত ৬ই জুন কুয়েত সিটির বাসা থেকে ধরে নিয়ে টানা ৯ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তিনি জেলহাতে) কুয়েতে তোলপাড় হয়ে গেলেও দেশটির সরকার এখনও ঢাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায় নি। লকডাউনের কারণে কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নাকী কেউ ফোনই ধরেন না দূতাবাসের এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর ঢাকায় কুয়েত মিশনে যোগাযোগ করা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এক সপ্তাহ হয়ে গেছে তারাও রেসপন্স করেনি। তবে মন্ত্রী মোমেন জানিয়েছেন, এমপি পাপুল বা তার দলবল চাইলে তাকে কনস্যুলার একসেস (আইনগত সহায়তা) দেবে সরকার। ভোরে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা এ নিয়ে দু'টি ভিডিও ক্লিপ প্রচার করেন। তাতে একজনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায় এবং মন্ত্রীকে জবাব দিতে দেখা যায়। তবে কে প্রশ্ন করছেন ভিডিওতে তার চেহারা প্রচার পায়নি। উল্লেখ্য, পাপুলকাণ্ড বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে যখন কুয়েতের দৈনিক আল কাবাস ও আরব টাইমস প্রথম রিপোর্ট করেছিল তখন দূতাবাসের উদ্বৃতি দিয়ে মন্ত্রী এটাকে 'ফেক নিউজ' বলে দাবি করেছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম অবশ্য পরে মানবজমিনকে বলেন, ভিডিও ক্লিপ দু'টি একটি টেলিভিশনের সাক্ষাতকারের অংশ।
যা সোমবার ধারণকৃত। করোনাকালে যাতে সবাই মন্ত্রীর বক্তব্য বা ভাষ্য পেতে পারেন এ জন্য তা হোয়ার্টসআপ গ্রুপে প্রচার করা হয়েছে।
বিস্তারিত ভিডিওতে...