গত ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ অভিযোগ ওঠে, লিওনেল মেসি সহ বার্সেলোনার কিংবদন্তিদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি। গুরুতর এমন অভিযোগে নড়েচড়ে বসে বার্সেলোনা পরিচালনা পর্ষদ। নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা কলঙ্কের ছাপ মুছতে উদ্যোগ নেয়া হয় নিরপেক্ষ তদন্তের। ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স’ নামের একটা নিরীক্ষা কোম্পানির তদন্তে সত্যতা মেলেনি এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের।
কাতালান সংবাদমাধ্যম কে থি জোগাস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, আইথ্রি নামক একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করে বার্সেলোনা বোর্ড। সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তামেউয়ের সঙ্গে যেসব সাবেক, বর্তমান খেলোয়াড় এবং কোচদের বনিবনা হয় না তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুক, টুইটারে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করাই ছিল আইথ্রি’র কাজ। এজন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগও করা হয়।
এই অভিযোগের পরেই আইথ্রি কোম্পানির সাথে চুক্তি ছিন্ন করে। বার্সার বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্বে ছিল এই কোম্পানি, প্রায় ১ মিলিয়ন ইউরোর কাজ করত তারা মাসে। এই অভিযোগের জের ধরেই তখন ক্লাব ছেড়ে যেতে হয় বার্সা সহ সভাপতি এমিলি সোসাদকে।
তদন্ত কাজের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ন্যু ক্যাম্পে পুলিশ নিয়ে হানা দিয়েছিল স্পেনের মানি লন্ডারিং বিভাগ।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাতালান সংবাদমাধ্যম কে থি জোগাস-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বার্সেলোনা।