× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি চীন- এফবিআই পরিচালক

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ৮, ২০২০, বুধবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন

চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে। তিনি বলেছেন, চীন সরকারের গুপ্তচরবৃত্তি এবং চুরি করার কর্মকান্ড যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি ওয়াশিংটনে হাডসন ইন্সটিটিউটে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় তিনি চীনের কর্মকান্ডকে বহুমুখি বিঘœ সৃষ্টিকারী হিসেবে বর্ণনা করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। তিনি বলেছেন, বিদেশে বসবাসকারী চীনা নাগরিকদের টার্গেট করছে চীন এবং তাদেরকে ফিরে যেতে বাধ্য করছে। যুক্তরাষ্ট্র করোনা ভাইরাস নিয়ে যে গবেষণা, তা নিয়ে আপোষের জন্য কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, যেকোনো উপায়ে বিশ্বের একমাত্র সুপার পাওয়ার হওয়ার জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে চীন।

মঙ্গলবার প্রায় এক ঘন্টা বক্তব্য রাখেন এফবিআই পরিচালক। এ সময় তিনি চীনা হস্তক্ষেপের পরিপূর্ণ ছবি তুলে ধরেন। তারা অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে এটাও আলোকপাত করেন। ডাটা এবং অর্থ চুরি করছে এ বিষয়ে কথা বলেন। কথা বলেন, অবৈধ রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পলিসিকে প্রভাবিত করতে তারা ঘুষ ও ব্লাকমেইলের আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা বর্তমানে এমন একটি অবস্থানে এসে পৌঁছেছি, যখন প্রতি ১০ ঘন্টায় চীন সংশ্লিষ্ট কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক একটি করে মামলা খুলতে হচ্ছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত প্রায় ৫ হাজার সক্রিয় মামলা আছে। এর অর্ধেকই চীন সম্পর্কিত। তিনি বলেন, ‘ফক্স হান্ট’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। এর উদ্দেশ, বিদেশে বসবাসকারী চীনা নাগরিকদের চীন সরকারের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা। তার ভাষায় - আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ভিন্ন মতাবলম্বী এমন কি সমালোচকদের বিষয়ে কথা বলছি, যাদেরকে চীনের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রকাশ করে দেবেন বলে মনে করা হয়। চীন সরকার চাইছে তাদেরকে জোর করে চীনে ফিরিয়ে নিতে এবং চীন সরকারের এই কর্মকান্ড হতাশার। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী চীনা পরিবারকে টার্গেট করে দূত পাঠানো হয় সেখানে। তাদেরকে একটি বার্তা দেয়া হয়। এক হলো, দ্রুত চীনে ফিরে যেতে হবে। দুই, না হয় আত্মহত্যা করতে হবে।
ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির সাংবাদিক ঝাওয়িন ফেং বলছেন, এটাই চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বড় গোয়েন্দা হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেন নি এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে। এতে পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলেছে যে, বেইজিংকে শুধু আগ্রাসী প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বৈশ্বিক নেতৃত্বে উচ্চাভিলাষী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকেই চীনকে আক্রমণ করে আসছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সর্বশেষ হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন নিয়েও চীনের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে তার প্রশাসন। তবে ক্রিস্টোফার রে’র এই মন্তব্যকে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, চীন ইস্যুতে ৪০ বছরের ব্যর্থ নীতি থেকে এখন জেগে উঠার সময়। তবে সমালোচকরা তার এমন কর্মকান্ড বা বক্তব্যকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রচারণা হিসেবে দেখছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর