করোনাকালে জাতীয় দলের পেসাররা কেমন আছেন, কী করছেন বা কী করলে ফিটনেস ঠিক রাখা যাবে ? এমন বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্স করেছেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। করোনায় ঘরবন্দি সময়টিতে রুবেল, মোস্তাফিজ, রাহীদের ফিটনেস নিয়ে বেশি বেশি কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন এই সাবেক ক্যরিবিয়ান পেসার । তিনি বলেন, ফিটনেস যদি ঠিক থাকে তবে বোলিং অ্যাকুরিসি আসতে খুব বেশি সময় নিবে না। অনুশীলনে দুই-তিন দিনের মধ্যেই তা ফেরানো সম্ভব হবে। অবশ্য শুধু ফিটনেসই নয়, আলোচনা হয়েছে বোলিং টেকনিক, ট্যাকটিকস ও ফিল্ডিংয়ের উন্নতি নিয়েও। এছাড়া কী করলে পেসাররা আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন এবং ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবেন তাও বাদ যায়নি আলোচনায়। তিনি শিষ্যদের পরামর্শ দিয়েছেন নিজেদের বোলিং ভিডিও করে তাকে পাঠাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের এক পেসার বলেন, ‘ভিডিও কলে গতকাল গিবসনের সঙ্গে আমাদের সভা হয়েছে।
এখন তো খেলা নেই, অনুশীলন নেই। আমরা আগে যতটুকু শক্তিশালী ছিলাম এখন এই বসে থাকার সময়টায় বাসায় বসে ফিটনেস ট্রেনিং করছি। এই সময়টায় আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে আসতে বললেন। যে দুর্বলতা ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে ওনার মূল ফোকাস ছিল আমাদের ফিটনেসের ওপর। গিবসন যেটা বললেন, আমরা যদি এখন ফিট থাকি তাহলে বোলিং অ্যাকুরিসি আসতে সময় লাগবে না। দুই কী তিন দিনের অনুশীলনে এসে যাবে।
আমাদের টেকনিক, ট্যাকটিকস ও ফিল্ডিং নিয়েও আলোচনা করেছেন তিনি। কী করলে আমরা এসব জায়গায় উন্নতি করেত পারবো তা বলে দিয়েছেন। আমাদের বোলিং ভিডিও করে তাকে পাঠাতে বলেছেন।’
অবশ্য গিবসনের সঙ্গে এই ভিডিও কনফারেন্সের আগে থেকেই পেসাররা নিজ উদ্যোগে বোলিং অনুশীলন করেছেন। তাসকিন আহমেদে নিজ বাসার গ্যারেজে, মোহামম্মদ সাইফুদ্দিন বাসার অদূরে মাঠে, আল আমিন হোসেন, ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী এবং মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং অনুশীলনের খবর বেশ আগেই শোনা গিয়েছে। জাতীয় দলের পেসাররা সবশেষ বল হাতে নিয়েছিলেন গত মার্চে, ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের প্রথম রাউন্ডের খেলায়। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় চার মাস ধরে বন্ধু রয়েছে সব ধরনের ক্রিকেট।