× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বান্দরবানে চাঞ্চল্যকর ৬ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা

বাংলারজমিন

বান্দরবান প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সংস্কারপন্থি) ৬ নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র স্থানীয় পর্যায়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে জেএসএস সংস্কারের সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে নিহত জেএসএস সংস্কারের জেলা সভাপতির রতন তঞ্চঙ্গ্যার লাশ সন্ধ্যায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত অন্য ৫ জনের লাশ তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে খাগড়াছড়িতে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে বাঘামারা বাজার পাড়ায় দিনে-দুপুরে গুলি করে ছয়জনকে হত্যা করা হয়। নিহতরা সবাই জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) সংস্কারপন্থি গ্রুপের (জেএসএস-এমএন লারমা গ্রুপ)। সংস্কারপন্থিদের দাবি এই ঘটনায় মূল জেএসএস জড়িত রয়েছে। আর এই ঘটনায় স্থানীয় জনমনে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমনকি জেএসএস সংস্কারের জেলা কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে একসঙ্গে এত জনের মৃত্যু এটাই প্রথম ঘটনা।



তাই সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে আবার কখন বড় ধরনের ঘটনা ঘটে। জেএসএস ও জেএসএস সংস্কার উভয় গ্রুপের মধ্যে রয়েছে ভারী ভারী অস্ত্র। এছাড়া সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ, কুহালং, রাজবিলা, রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং, বাঘমারাসহ আশপাশের এলাকা দীর্ঘদিন ধরে জেএসএস একক আধিপত্য ধরে রেখেছে। সেখানে হঠাৎ করে আবির্ভাব হয়েছে জেএসএস সংস্কারের। তাও আবার জেএসএস এর ঘাঁটি এলাকায়। মঙ্গলবার ছয়জনের মৃত্যুর ক্ষোভ দমনে জেএসএস সংস্কারও পাল্টা আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাই জেলায় যে কোনো সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা মাথায় রেখে আতঙ্কের মধ্যে আছেন স্থানীয় বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সদর থানার ওসি
শহিদুল ইসলাম বলেন, জেএসএস সংস্কারের সাধারণ সম্পাদক উবামং মার্মা নিজে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এছাড়া আরো ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুুলিশ বলছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে এবং জড়িতদের খুঁজতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে
জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার বলেন, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে অচিরেই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
নিহতরা হলেন- জেলা সভাপতি রতন সেন তঞ্চঙ্গ্যা (৬০), কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা ওরফে প্রজিত চাকমা (৬৫), চিংথোয়াইঅং মারমা ডেভিড (৫০), জয় ত্রিপুরা (৪০), জিতেন ত্রিপুরা (৪২) এবং রবীন্দ্র চাকমা ওরফে মিলন (৬০)। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো ৩ জন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাঘমারা এলাকার জনসাধারণ ও নিহতের স্বজনেরা। এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর